২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
আবুধাবি : টাইগারদের বিপক্ষে ২২৩ রানের লক্ষ্যে ভালোই শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান। রোহিত-ধাওয়ানের সেই ভালো শুরু থামিয়ে দিয়েছে টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও নাজমুল ইসলাম অপু। ৪৮ রানের মাথায় ভারতীয় দলের অধিনায়ককে ফিরিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১২২ রান। কার্তিক ৪৬ বলে ২৯ রান এবং ধোনি ৩৪ বলে ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন। কিন্তু পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় শিখর ধাওয়ানকে ফেরান নাজমুল ইসলাম শান্ত।
১৪ বলে ১৫ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর অম্বতি রাইডুকে ফিরিয়ে দেন বস মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২ রান করে উইকেটের পিছনে মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচ দেন রাইডু।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৪৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২২।
বাংলাদেশের পক্ষে লিটন দাস সর্বোচ্চ ১২১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ ও সৌম্য সরকার ৩৩ রান করেন। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছিল এই দুই দল। সেবার টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারত।
২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরেছিল টাইগাররা। এবারও কি এশিয়া কাপের ফাইনাল বাংলাদেশের জন্য দুঃখই হয়ে থাকবে?
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার আগেই ২২২ রানে গুটি যায় বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা এমন ছিল না বাংলাদেশের।
২০ ওভারে বিনা উইকেটে যে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২০ রান, তাদেরকে ৫০ ওভারের আগেই থেমে যেতে হয়েছে ২২২ রানেই।
এশিয়া কাপের সব কটি ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মুমিনুল হক ও সৌম্য সরকারের একের এক ব্যর্থতায় এদিন ফাইনালে চমক আনে বাংলাদেশ।
অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে মাঠে নামেন লিটন কুমার দাস। শুরুতেই ঝড় তোলেন লিটন। লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মিরাজ।
দলীয় ১২০ রানের মাথায় ভুবনেশ্বর, বুমরা, জাডেজা ও চাহালদের ব্যর্থ দিনে সফলতা আনেন কেদার যাদব। আফগানদের বিপক্ষে সফলতা পেলেও অাজ এসেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস।
চাহালের এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে গেলে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিস্টার ডিপেন্ডেবলও এদিন ব্যর্থ হয়। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় কেদার যাদবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান।
ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে রান আউট হয়ে ফিরে যায় মোহাম্মদ মিথুনও। এমন অবস্থায় তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল টাইগার ভক্তরা, সেই মাহমুদুল্লাও আশা হত করেন দায়িত্বহীন শটে। দেড়শ পার না করতেই কুলদীপ যাদবের বল সীমানা পার করতে গিয়ে ধরা পড়ে বুমরার হাতে।
১৯০ রানে সৌম্য নিয়ে লিটনের ১২১ রানের ইনিংসের লড়াই থামে থার্ড আম্পেয়ারের বিতর্ক সিদ্ধান্তে। টাইগার ক্যাপ্টেন ফিরে যান দুই ওভার পরেই। সৌম্যের আরেক ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাজমুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, আম্বাতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার জাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদ্বীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D