সংবাদ সম্মেলনে রিজভী : সিনহাকে বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে সরকার

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী : সিনহাকে বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে সরকার

সরকার সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগ ও পদত্যাগে বাধ্য হওয়া প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তিনি তার বইতে উল্লেখ করেছেন- কীভাবে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। কীভাবে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার।’

বিচারপতি সিনহা তার ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’ বইয়ে পরিষ্কার বলেছেন-বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি ও ভীতি প্রর্দশনের মুখে তিনি দেশ ছেড়েছেন এবং তার পরিবারকে জিম্মি করে বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বিবিসি বাংলাসহ দেশের কিছু গণমাধ্যমে আজকে তা প্রকাশ পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এসকে সিনহা সরকারের চাপে ও হুমকির মুখে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তার বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত দেশের বিচারবিভাগ নিয়ন্ত্রিত।’

গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারের লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই এই কালো আইন করা হয়েছে। এটি সংবিধান বিরোধী একটি আইন। কারণ এ আইনে সংবিধানের মূল চেতনা বিশেষ করে মুক্ত চিন্তা, বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন বিনা ওয়ারেন্টে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের অফিস ঢুকে তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালাতে পারবে, কম্পিউটারসহ সকল কিছু সিজ করতে পারবে, যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। সাধারণ মানুষও এই কালো আইনের থাবা থেকে রেহাই পাবে না।

কারাগারে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এ সময় তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি জানান।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট