১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলা কারাগার চত্বরে স্থাপনের পর দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত হননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ এই আদালতের বিচারককে চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি আদালতে আর আসবেন না।
বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার চত্বরে বসানো আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনের কার্যক্রমে বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষের আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও আজ দুজন আইনজীবী মামলার কার্যক্রমে অংশ নেন এবং খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেন।
আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন। এ দিন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে কি না, সে বিষয়েও শুনানি হবে। আজ আদালত আরো জানিয়েছেন, এ মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে থাকবেন।
আদালত দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে। মুলতবি ঘোষণার আগে বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমার কাছে একটি চিঠি এসেছে। এতে খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি আর আদালতে আসবেন না।’ এ অবস্থায় প্রধান আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে কি না, সে ব্যাপারে আইনগত ব্যাখ্যা হাজির করার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত।
আজ (বুধবার) ছিল কারাগার চত্বরে বসানো আদালতে মামলার কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন। এ দিন শুরুতেই বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের আইনগত বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এ ধরনের আদালত সংবিধানসম্মত নয় উল্লেখ করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান সানাউল্লাহ মিয়া।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আরো বলেন, ‘কারাগার চত্বরে আদালত চলতে পারে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। এখানে আদালত চালানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই। তাই এখানে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না।’ এ সময় তিনি আদালতের স্থান অন্যত্র নির্ধারণেরও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়া যেখানে বন্দি আছেন, সেই কারাগার চত্বরে আদালত বসানোর তথ্য জানানো হয়। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রমে আইনজীবীরা না গেলেও খালেদা জিয়া হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন।
সেদিন খালেদা জিয়া আদালতে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। বিচারকের সামনে একটি হুইলচেয়ারে তিনি বসে থাকেন। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তার হাত-পা এবং মাথা কাঁপছিল। তাঁর সঙ্গে এ সময় তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমা ছিলেন। ফাতেমার হাতে ছিল একটি ছোট ব্যাগ।
এ সময় খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, ‘জজ সাহেবের কাছে কোনো কথা বা নিবেদন করা যায় না। উনি তারিখ দিয়ে উঠে চলে যান। আমাদের কারো কথা শুনেন না। সরকারের হুকুমে এবং নির্দেশে তিনি সব কিছু পরিচালনা করছেন। আমার পায়ে ব্যথা। ডাক্তার আমাকে পা সব সময় উঁচু করে রাখতে বলেছেন। হাতেও প্রচণ্ড ব্যথা। আমাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে। আমি খুবই অসুস্থ। আমি ঘন ঘন কোনো হাজিরা দিতে পারব না। রায় তো লেখাই আছে। আমার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যা ইচ্ছা রায় দেন, যত খুশি সাজা দিয়ে দেন।’
সেদিন খালেদা জিয়া আদালতে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। বিচারকের সামনে একটি হুইল চেয়ারে তিনি বসে থাকেন। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তার হাত-পা এবং মাথা কাঁপছিল। তার সঙ্গে এ সময় তার গৃহকর্মী ফাতেমা ছিলেন। ফাতেমার হাতে ছিল একটি ছোট ব্যাগ।
সেসময় খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, ‘জজ সাহেবের কাছে কোনো কথা বা নিবেদন করা যায় না। উনি তারিখ দিয়ে উঠে চলে যান। আমাদের কারো কথা শুনেন না। সরকারের হুকুমে এবং নির্দেশে তিনি সব কিছু পরিচালনা করছেন। আমার পায়ে ব্যথা। ডাক্তার আমাকে পা সব সময় উঁচু করে রাখতে বলেছেন। হাতেও প্রচণ্ড ব্যথা। আমাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে। আমি খুবই অসুস্থ। আমি ঘন ঘন কোনো হাজিরা দিতে পারব না। রায় তো লেখাই আছে। আমার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যা ইচ্ছা রায় দেন, যত খুশি সাজা দিয়ে দেন।’
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D