৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৬
বাগেরহাট : সুন্দরবনের দস্যুদল ‘মজনু বাহিনী’ ও ‘ইলিয়াস বাহিনী’র ১১ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ র্যাব-৮, র্যাব-৬, খুলনা ও বাগেরহাটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আত্মসমর্পণ করা দস্যুরা হলেন, মজনু বাহিনীর প্রধান মজনু গাজী (৪৫), মো. বাবুল হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রহমত, মো. ইদ্রিস আলী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মজনু শেখ, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে ইমদাদুল, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো এনামুল হোসেন এবং ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো নাসির হোসেন।তাদের সবার বাড়ি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
আত্মসমর্পণকালে দস্যুরা ২৫টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও শতাধিক রাউন্ড গুলি জমা দেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বনদস্যুরা যে সমাজের জন্য ক্ষতিকারক, তারা সেটি বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছে। অন্য দস্যুরা এখনও ভুল পথে পরিচালিত হয়ে ভয়ংকর জীবন-যাপন করছে। তারা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসলে তাদের বিরুদ্ধেও র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও নৌবাহিনী আরও কঠোর ও ব্যাপক অভিযান চালাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের শান্তি-শৃংখলা এবং সাধারণ মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারে- এ জন্য যা কিছু করা দারকার তা করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।’
এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘সুন্দরবনের দস্যুদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন। এ জন্য সুন্দরবনের সম্পদ, জেলেদের জীবন এবং পর্যকটদের জন্য বনকে নিরাপদ রাখতে সব ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের অভিযানকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ইতালি থেকে কোস্টগার্ডের জন্য চারটি জাহাজ আনা হচ্ছে। র্যাবের আরো দুটি ব্যাটালিয়ন বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে, যা শিগগির বাস্তবায়ন হবে। এ ছাড়া নৌ-পুলিশের জনবলও বৃদ্ধি করা হবে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মৎস্যজীবীদের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে এনে তাদের নির্বিঘ্নে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি এবং দস্যুদের সামাজিক অপতৎপরতা দমন করা। দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সরকার তাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা করবে।’
সুন্দরবন এলাকাকে বনদস্যুদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া হবে না এবং এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D