গোয়াইনঘাটে সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ওসি সহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশিত: ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৬

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা : গোয়াইনঘাটে অভিযান চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে  গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি শ্রীমঙ্গল উপজেলার চলিত পান পুঞ্জি এলাকার জহিনল কংওয়াং এর পুত্র স্টেলিন তারিয়াং (৩২)। স্টেলিং দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের সংগ্রাম পুঞ্জি এলাকায় বসবাস করে আসছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় গতকাল সোমবার ভোর রাতে উপজেলার সংগ্রাম পুঞ্জি এলাকার খাসিয়া আদিবাসী নেত্রী নেরলা তেনসং এর বাসায় স্টেলিং ও তার সহযোগীরা নাশকতা এবং অস্ত্র আদান-প্রদান নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি মোঃ দেলওয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, এস আই ময়নুল ইসলাম সহ ১৫/২০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্টেলিং ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্টেলিং এর সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ ২টি বিদেশী পিস্তল, ১টি কাটা বন্দুক, ১টি ¯œায়পার গান, ২৩ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদা, ৩টি খাসিয়া দা ও ২টি ছোরাসহ জেলা ছাত্রদল নেতা স্টেলিংকে আটক করে। এ ঘটনায় থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতরা হলেন ওসি মোঃ দেলওয়ার হোসেন, এস আই রাজিব মন্ডল, বদিউজ্জামান, এ এস আই আশরাফ, নূরে আলম, কনস্টেবল নিজাম ও হাবিব আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি গোয়াইনঘাট মোঃ দেলওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান রাত ৩ টার দিকে গোপন সংবাদে জানতে পারি সংগ্রামপুঞ্জি এলাকায় স্টেলিং এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নাশকতা ও অস্ত্র আদান-প্রদান নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ১টি কাটা বন্দুক, ১টি ¯œায়পার গান, ২৩ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদা, ৩টি খাসিয়া দা, ২টি ছোরা উদ্ধারসহ স্টেলিং নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট