আত্মঘাতী গোলের কারণে বর্ণবাদের শিকার হলেন ফার্নান্দিনহো

প্রকাশিত: ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৮

আত্মঘাতী গোলের কারণে বর্ণবাদের শিকার হলেন ফার্নান্দিনহো

ব্রাসিলিয়া : ৬ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। ওই ম্যাচে ব্রাজিলের জালে প্রথম বলটি ঢোকে আত্মঘাতী গোলে। যেটা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফার্নান্দিনহোর গায়ে লেগে ব্রাজিলের জালে জড়ায়।

আত্মঘাতী এই গোলের কারণে ম্যানচেস্টার সিটির এই খেলোয়াড়ের ওপর খেপেছে উগ্র সমর্থকরা। অন লাইনে ফার্নান্দিনহো ও তার পরিবার উগ্র সমর্থকদের বর্ণবাদী আক্রমণে শিকার হয়েছেন। অবশ্য এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিলের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

কাজানে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। ম্যাচের ১৩ মিনিটে কর্নার পায় বেলজিয়াম। ইডেন হ্যাজার্ডের করা সেই কর্নার কিক ফার্নান্দিনহোর গায়ে লেগে ব্রাজিলের জালে ঢুকে পড়ে। ফলে ১-০তে পিছিয়ে পড়ে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যে ধাক্কা পুরো ম্যাচে আর সামাল দিতে পারেনি তারা। সর্বশেষ ২-১ গোলের হার নিয়ে শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। আর দলের এ হারে ফার্নান্দিনহোর ওপর গিয়ে পড়ে সমর্থকদের সব রাগ। বিশেষ করে কিছু উগ্র সমর্থক কৃষ্ণাঙ্গ এই ডিফেন্ডারকে লক্ষ্য করে ইনস্টাগ্রামে বর্ণবাদী আক্রমণ ও হুমকি দিয়ে মন্তব্য করে।

শুধু ফার্নান্দিনহোই নন, উগ্র সমর্থকদের বর্ণবাদী আক্রমণ ও হুমকির শিকার হয়েছেন তার স্ত্রী গ্লোসিয়া রোসাও। এমনকি তার মা আক্রমণাত্মক মন্তব্যের শিকার হয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে ব্রাজিলের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফার্নান্দিনহোর পাশে দাঁড়িয়েছে। ফার্নান্দিনহো ও তার পরিবারের প্রতি বর্ণবাদী আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেছে, ‘ফুটবল বিভিন্ন বর্ণ, বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি ও মানুষের ঐক্যের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা তোমার সাথে আছি। বর্ণবাদীরা পার পাবে না।

এদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা ‘মুন্ডো নিগ্রো’ ওয়েব সাইট ফার্নান্দিনহোর পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা ফার্নান্দিনহোর একটি ছবি দিয়ে তার ক্যাপশনে লিখেছে, ‘ব্রাজিলের হার ও আত্মঘাতী গোল বর্ণবাদকে বৈধ করে না। কোন কিছুই বর্ণবাদকে সমর্থন করে না। আমরা ফার্নান্দিনহোর সাথে আছি।’

সূত্র: স্কাই স্পোর্টস