পুলিশ ও নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের পিতা সিরাজ মিয়া জানান, মোফাজ্জল হোসেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আমতলী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ২০১৪ সালের আনুমানিক জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে সে কোরবানি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। পরে ১৫ দিন ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে আমতলী মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যায়। বাড়ি থেকে যাওয়ার পরপরই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি নিখোঁজের বিষয়ে সরকারি ঘোষণা জানতে পেরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মোফাজ্জল হোসেনর পিতা মো. সিরাজ মিয়া জানান, ছোটকাল থেকে মোফাজ্জল নামাজ কালাম পড়তো। সে জন্য প্রথমে তাকে নিজ গ্রামের লাকমা মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। পরে একই উপজেলার বাঁশতলা মাদ্রাসা ও বাদাঘাট মাদ্রাসায় ভর্তি করে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেন। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে খরচ কম হওয়ায় এবং ধর্মীয় বিষয়ে পড়ানো হয় বিধায় তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হয় বলে জানান বাবা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, পুলিশ নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। তাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, মোফাজ্জলের ছবি সংগ্রহের জন্য তার বাড়ির লোকজনদের বলা হয়েছে। নিখোঁজের বিষয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি বেতারবার্তা পাঠানো হয়েছে। তাকে খুঁজে বের করার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, মাদ্রাসা ছাত্র মোফাজ্জল প্রায় তিন বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তার সঙ্গে পরিবারের লোকজেনর কোনও ধরনের যোগাযোগ নেই। পুলিশ সন্দেহ করছে সে কোনও ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য তার ছবি ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।