‘সুন্দরবন ধ্বংস করে সেই প্রকল্প জনগণ মানবে না’

প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৬

: ইসলামী ঐক্য আন্দোলন এর নেতারা বলেছেন, ‘ভারতকে কয়লা বিক্রির সুবিধা দেয়া ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। সুস্থবিবেক সম্পন্ন কোনো মানুষ এ প্রকল্পের পক্ষে কথা বলেছে বলে পত্রপত্রিকায় প্রমাণ নেই’।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীনরা ভারতের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানীকে উক্ত বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়ার জেদ দেখালে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহানগর আমির মোস্তফা বশীরুল হাসান।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, আমির মওলানা রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখওয়াত হুসাইন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান, মওলানা ফারুক আহমদ, মওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঁইয়া, আজমল হোসেন ও আবদুল কাদির প্রমুখ।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা সুন্দরবনের বনাঞ্চল, পরিবেশ ও জীবসম্পদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের অস্থিত্বকে বিপন্ন করবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এই প্রকল্প হবে কয়লাভিত্তিক, যার নির্মাণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরুৎসাহিত করা হয়, এটি কোনোভাবেই পরিবেশবান্ধব নয় এবং মানুষ ও জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যান্য ধরনের যে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিবেশে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়ে। ফলে অনায়সে ধসে পড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছগাছালি ও প্রাণিদের জীবনচক্র, তাদের খাদ্য ও বায়ু বিষাক্ত হয়ে পড়বে। ফলে দেখা দিবে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি।

অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সুন্দরবন রক্ষার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট