৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৮
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষ করেছে আদালত। আগামী মঙ্গলবার (১৫ মে) আদালত এ শুনানির আদেশ দেবেন।
বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেত্বত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ ঘোষণা দেয়।
এর আগে বুধবার (৯ মে) সকালে ৯টার পরে দ্বিতীয় দিনের মতো খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
প্রথমে আদালতে বক্তব্য রাখেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল চেয়েছেন।
তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যে দুইবার আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রতিবাদ করে উঠেন। অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া রেস্টে আছেন এবং এটি সবচেয়ে ফেয়ার ট্রায়াল।
তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। তিনি আদালতকে বলেন, দুদকের আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল যেসব বক্তব্য রেখেছেন তা রাজনৈতিক। রাষ্ট্রের আইন প্রধান আইন কর্মকর্তা হয়ে তিনি এসব বক্তব্য রাখতে পারেন না। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেকে এ মামলার বাদি উল্লেখ করে বলেন তিনি এসব বলতে পারেন। এ নিয়ে অন্য আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করলে আদালত আজকের মতো শুনানি স্থগিত করে দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ সিনিয়র আইনজীবীরা। এছাড়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় তিন সহস্রাধিক আইনজীবী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল এবং খালেদা জিয়ার জামিন বহাল চেয়ে তার পক্ষে দায়ের করা অপর একটি আপিল আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ৮ মে মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করেছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
গত ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সাথে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করা হয়।
আদেশের পর ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনুরোধে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ৮ মে এই মামলা শুনানির জন্য তালিকার শীর্ষে থাকবে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়া বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। ৮ মে না হলেও ৯ মের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করব।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে গ্রেপ্তার করে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখনো সেই কারাগারে আছেন। একই রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর চার আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হলে ১২ মার্চ চারটি যুক্তি আমলে নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। জামিন আদেশে আদালত বলেন, আদেশ দেয়ার সময় আমরা যেসব বিষয় বিবেচনা করেছি সেগুলো হলো- এক. সাজার পরিমাণ (বিচারিক আদালতে তাকে যে স্বল্প মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছে); দুই, মামলাটির বিচারিক আদালতের নথি এসেছে এবং এটি আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক তৈরি হয়নি; তিন. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন, তিনি জামিনে ছিলেন ও জামিনের অপব্যবহার করেননি এবং চার. তার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার বিষয় বিবেচনা করা হলো। আদালত আরো বলেন, তিনি ৭৩ বছর বয়সী একজন নারী এবং দীর্ঘ দিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত। এসব বিবেচনা করে তাকে চার মাসের জামিন দেয়া হলো।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D