৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
বিএনপি নেতা এম শামসুল ইসলামের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই জানাজা হয়।
ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এমএ মালেক জানাজা নামাজ পড়ান।
নয়াপল্টনে জানাজার পর দুপুরে এম শামসুল ইসলামের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সীগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার তিনসুড়িতে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
ওলামা দলের সভাপতি এম এ মালেকের পরিচালনায় জানাজায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমদ আযম খান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, এমরান সালেহ প্রিন্স, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানা উল্লাহ মিয়া, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেনসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শামসুল ইসলাম তার নির্বাচনী এলাকা এবং দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে গিয়েছেন। তার মৃত্যুতে বিএনপি ও বাংলাদেশ হারালো এক নেতাকে। যে শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হবার নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামসুল ইসলাম মারা যান। শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগ নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
এম শামসুল ইসলাম ১৯৩২ সালের ১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সদস্য ছিলেন।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শামসুল ইসলাম। বিভিন্ন মেয়াদে তিনি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন।
শামসুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার হাইকমিশনার ছিলেন। ১৯৮১ সালে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
বিএনপির বিগত কমিটিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন শামসুল ইসলাম। কিন্তু, গত কাউন্সিলের আগে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।
শামসুল ইসলাম বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ বক্ষব্যাধি সমিতি, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।
১৯৯১ সালের মার্চ থেকে ১৯৯১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শামসুল ইসলাম। এরপর ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D