১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮
খাবারের সঙ্গে মন–মেজাজ বা মুড ওঠানামার কোনো সম্পর্ক আছে কি? কিছু খাবার আপনার মেজাজ বা রাগ, আবেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার কিছু খাবার আছে যা আপনাকে শান্ত করে। আসুন, দেখি এগুলো কী?
চিনি : যখন কোনো কারণে রক্তে শর্করা কমে যায়, মানে চিনির স্তর নিচের দিকে নেমে আসে, তখন আমাদের মেজাজ গরম হয়ে যেতে পারে। রাগ হতে পারে। আমরা খিটখিটে আচরণ করতে পারি। খিদে লাগলে অনেক শিশু চিৎকার–চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। অনেকে মারামারি করে। আবার আকস্মিক এক গাদা চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে অনেকখানি ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। এই চিনি শোষণ ও ব্যবহার হয়ে যায় সহজেই। কিন্তু ইনসুলিনের প্রভাবে খিদে অনুভূতি, মেজাজ খারাপ লাগা, আবেগ, ক্রোধ বেশি হওয়া চলতেই থাকে। এ জন্য শর্করা খেতে হবে এমন, যা দ্রুত রক্তে চিনি বাড়ায় না। চিনিযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, জুস, মিষ্টি খাবারের পর অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি হয় এবং পরে সমস্যা হয়। আবার শস্যজাতীয় খাবার থেকে শর্করা আহরণ করলে তা সহজে চিনি বাড়ায় না, ধীরে রক্তেমেশে ও ধীরে ইনসুলিন উৎপাদন করে।
ওমেগা ৩ : ওমেগা ৩ চর্বিযুক্ত খাবার মন–মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কিছু নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এটি। ওমেগা ৩ আছে সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ইত্যাদিতে।
প্রোবায়োটিক : কিছু খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এদের বলে প্রোবায়োটিক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া মস্তিষ্কে বিষণ্নতা সৃষ্টিকারী রাসায়নিককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। টক দই একটি ভালো প্রোবায়োটিক।
এছাড়া পুষ্টিকর ফলের মধ্যে কলা অন্যতম। কলা যে শুধু হৃদযন্ত্রই সুস্থ রাখে তা নয়। প্রতিদিন এই কলা খেলে আছে আরও উপকারিতা। যেমন পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। কলা আমাদের দেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ফল। যা সাড়া বছরই পাওয়া যায়। যেখানে সব বয়সের মানুষকেই বৃটিশ এবং ইতালিয়ান গবেষকরা দিনে অন্তত তিনটি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গবেষকরা জানান, দেহে সঠিক মাত্রার পটাসিয়াম নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাসিয়ামের উপস্থিতি জরুরী। একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লাখ মানুষ।
গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী, সকালের নাস্তায়, দুপুরে খাবারের পর এবং সন্ধ্যা চা কিংবা ভাজা-পোড়া খাবারের বদলে একটি করে কলা খেলে দেহে পটাসিয়ামের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর দেহে পটাসিয়ামের ঘাটতি না থাকলে স্ট্রোকের শিকার হয়ে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে প্রাণ হারাতে হবে না কাউকে।তাছাড়া কিডনী সমস্যা,আলসার,অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
ডাঃ মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D