১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০১৮
দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আসুন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বাণীতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংযোজন করেছি। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমতনির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি মহান আল্লাহর কাছে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং আগামীদিনের কর্ণধার শিশুকিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি আজ দায়মুক্ত হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক।
‘তিনি যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজে আত্মনিয়োগ করেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে সপরিবারে হত্যা করে’ জানিয়ে শেখ হাসিনা আরো বলেন, এর মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়। অবৈধ সামরিক সরকারগুলো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়। জনগণ ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয় ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই বিশ্বনেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে তার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
সূত্র : বাসস
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D