ঢাকায় পাঁচ তারকা হোটেলে হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই জন্য তাদের দেশের নাগরিকরা যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে তাদেরকে পাঁচ তারকা হোটেলের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের এই ধরনের কোনো হোটেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার বিষয়টি গ্রহণ করা হবে না বলেও মার্কিন দূতাবাসের ঢাকাস্থ অফিসের ওয়েব সাইটে বার্তা দেয়া হয়েছে। : এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা জনসমাগম হয় এমন স্থান, অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলছেন। হোটেলের অনুষ্ঠানেও তারা খুব একটা যাচ্ছেন না। এছাড়া যুক্তরাজ্যের নাগরিকরাও পাঁচতারকা হোটেলের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। তাদেরকেও তাদের সরকার ওই ধরনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও পাঁচতারকা হোটেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বার্তায়, সেখানে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির হামলার কথা উল্লেখ করে গুলশান দুই নম্ব^রের ৭৯ নম্ব^র রোডও এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে তার দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, তাদেরকে কি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, আমেরিকান কোনো নাগরিকের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মেনে নেবে না বেশ কয়েকটি বিষয়। এরমধ্যে রয়েছে, পাবলিক প্লেসে যাওয়া যাবে না, রাস্তায় ফুটপাতে চলাচল করা যাবে না। মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, রিকশা ও অন্যান্য যেসব ঢাকনা ছাড়া পরিবহন রয়েছে এমন কোনো পরিবহনে চলাচল করা যাবে না। বড় ধরনের কোনো সমাবেশে বাংলাদেশে যোগ দেয়া যাবে না। এরমধ্যে পাঁচ তারকা হোটেলও রয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা এই সব নির্দেশনা মেনে চলবেন এবং এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেরাও যতখানি সম্ভব নেবেন। এছাড়াও তাদেরকে আরো বলা হয়েছে, আগামীতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাভেল ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন ওয়েব সাইটের লিঙ্ক দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। : পাঁচ তারকা হোটেলে হামলার আশঙ্কার কথা জানতে চাইলে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছেন একটি বিশেষ সূত্র জানায়, পাঁচ তারকা হোটেলে হামলার আশঙ্কাতো রয়েছে। কারণ গুলশানের ঘটনার পর এখন আর বলা যাচ্ছে না কোথায় হামলা হবে, আর কোথায় হবে না। যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময়ে হতে পারে। গুলশান আর শোলাকিয়ার ঘটনা ছিলো তাদের শক্তি ও উপস্থিতি জানান দেয়া। এবার তারা আরো বড় ধরনের হামলার উদ্যোগ নিতে পারে। আমাদের এখানে তারা আরো অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। নিরাপত্তা বাহিনীর সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করে। এই ব্যাপারে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো ধরনের কালক্ষেপণ করা যাবে না। : তিনি বলেন, জঙ্গিরা গুলশানের ঘটনার পর এখন যে কোনো জায়গায় হামলার চেষ্টা করতে পারে। এই জন্য আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সমস্যা হচ্ছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও সুনির্দিষ্ট করে আমাদেরকে তথ্য দেয়নি। তেমন তথ্য দিলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে অনেক সুবিধা হবে এই জন্য আমরা তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছি। তারা তা দিলে আরো সুবিধা হবে। তবে আমরা যেসব স্থানে বিদেশিরা সমবেত হচেছ কিংবা তারা চলাচল করছে ওই সব জায়গায় সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থা বিবেচনা করেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি। গোয়েন্দারাও এই ব্যাপারে কাজ করছে। তারা যখন যে তথ্য পাচ্ছে সেই সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করে এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন অনুযায়ী আপডেট করছে। বিদেশিদের আমি বার বার বলেছি তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। – See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/08/14/27735.php#sthash.xUeQxw9f.dpuf
সংবাদটি পঠিত : 445