১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৭
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, কোনো দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে সংসদের মাধ্যমে কীভাবে বিচারপতি অপসারণ হবে?
উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির সময় এই প্রশ্ন রাখেন প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে আদালত-বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে বিশিষ্ট আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় এ প্রশ্ন রাখেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে সপ্তম দিনের মতো শুনানি চলছে।বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শাসনতন্ত্রে দেশের সবচেয়ে পবিত্র আইন (সংবিধান) আমরা সংরক্ষণ করি। দেখা গেল, সেখানে এমন কিছু সন্নিবেশিত হলো, যাতে শূন্যতার সৃষ্টি হলো। পার্লামেন্টে টু থার্ড মেজরিটি (দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা) না থাকলে ওই পরিস্থিতিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে তখন কী হবে? জুডিশিয়ারি কী করবে? আমাকে এ বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে।’
জবাবে রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, লিখিত বক্তব্যে এর ব্যাখ্যা রয়েছে।
এর আগে অপর আদালত-বন্ধু ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বক্তব্য দেন এবং আদালত-বন্ধু টি এইচ খানের পক্ষে তার ছেলে আফজাল এইচ খান বক্তব্য দেন।
এর আগে গত ৮, ৯ এবং ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ মে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আপিল শুনানিতে সহায়তার জন্য ১২ আইনজীবীকে আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিতে বলেন আপিল বিভাগ।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন-বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও এম আই ফারুকী।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D