১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
মৌলভীবাজারের রাজনগরের উলামা দল ও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সরকারী জলমহাল সাব লিজ নিয়ে কৃষিজমিতে পানি আটকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে জলমহালের পাশের ২০০ একরেরও বেশি জমি পানিবন্ধি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন জমির মালিক ও কৃষকেরা।
এছাড়াও ওই জমিতে বাশ ও ডালপালা ফেলে দখলের পায়তারা করছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে স্মারক লিপি দিয়েছে মালিক পক্ষ। এছাড়াও রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা।
স্মারকলিপি সূত্র ও লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের শালকাটুয়া জলমহাল মন্ত্রনালয় থেকে সুনালী স্বপ্ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি (নিবন্ধন নং-০২১৮/২৪) ৬ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে। ওই সমিতির সভাপতি বিরেশ বিশ্বাসের নামে ইজারা দেয়া হয়েছে। এ সমিতির নামে লীজ হলেও নিজেরা জলমহালটি ভোগদখলে নেই।
কাউয়াদীঘি হাওরের ৮নং জে.এল এর শালকাটুয়া জলমহালের পাশে এসএস মৌরসি ও আরএস খতিয়ান নং ৩৪০৯, ৩৫১০,৩৬১৪, ৯০০, ৭২২,৫৬৩ ৩২০৮ সহ আরএস খতিয়ানের ব্যক্তি মালিকাধীন ১২০ একরসহ প্রায় ২০০ একর বেশি জমি রয়েছে। সরকারী জলমহালের পাশে থাকায় ও সীমানা নির্ধারণ করা না থাকায় জলমহাল ইজারাদারেরা জবর দখল করে ওই জমিতে পানি আটকে রেখেছে। এতে জমিগুলোতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এনিয়ে হাইকোর্টে ১৪১২৮/১৬ নং রীট পিটিশন করলে আদালত গত ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া ও এটার ওপর রুল জারী করেন।
এদিকে শালকাটুয়া জলমহাল স্বপ্ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে সরকারী বন্দোবস্ত হলেও মৌলভীবাাজার উলামা দলের নেতা মাওলানা আব্দুল হাকিম ও রাজনগর উপজেলা যুবদলের নেতাসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা মিলে জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ লঙ্গন করে সাবলীজ নিয়েছেন। শালকাটুয়া মলমহালের পশ্চিমপার্শে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিসহ একটি বাধ নির্মাণ করায় ওই জমিগুলো পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এতে এসব জমিতে বোরো আবাধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও ওই জমি পানিবন্ধ থাকায় এতে জলমহালের সাব লীজ নেয়া বিএনপি নেতারা এতে বাশ ও ডালপালা ফেলে জমি দখলের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তৈয়বুর রহমান টিপু বাদী হয়ে আদালতে পিটিশন দিলে (৩২২/২০২৫ইং) আদালত ১৪৪ ধারায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য রাজনগর অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দেন। এ বিষয়ে গত রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ওই আদালতের নির্দেশ বাস্থবায়নে হাওরের ওই জমিতে গেলে সাবলীজ গ্রহিতা উলামাদল নেতা আব্দুল হাকিম আতাউর রহমান, লিটন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই সময় সাবলীজ গ্রহিতারা তাদের গালাগাল করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এব্যাপারে উলামা দলের নেতা মাওলানা আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা এখানে কোন সাবলীজ নেইনি। যারা ইজারাদার তারাই জলমহালে রয়েছেন। আমরা সহযোগি হিসেবে রয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল সিকদার বলেন, এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এখানে কেউ অবৈধভাবে কিছু করতে পারবেনা। সাব লীজ দেয়ার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবো।

EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D