পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৫

পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন

ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে নারী ও শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে পঞ্চগড়ের তিনটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বুধবার (২৫ জুন) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সদর উপজেলার ভিতরগড় ও জয়ধরভাঙ্গা এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানী সীমান্ত দিয়ে এই পুশ-ইনের ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, চারজন নারী ও আটটি শিশু রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, তাঁদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছিলেন। ২৪ জুন গুজরাট থেকে ভারতীয় পুলিশ তাঁদের আটক করে এবং পরবর্তীতে উড়োজাহাজ ও বাসযোগে সীমান্তে এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

বিজিবি জানায়, সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে (৭৪৬ নম্বর মেইন পিলার ও ৩ নম্বর সাবপিলারের কাছাকাছি) ছয়জনকে আটক করা হয়, যাঁদের ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঘোড়ারবাড়ি ক্যাম্প থেকে ঠেলে পাঠানো হয়।

সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে (৭৫৮ মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন) সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্প থেকে পাঠানো হয়।

একইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তেঁতুলিয়ার শুকানী সীমান্ত দিয়ে পাঁচজন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করে ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ট্যাপরাভিটা ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটকদের পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি ১৮ ও ৫৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ মে, ২১ মে, ২ জুন, ১৩ জুন এবং ১৪ জুন-পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও কয়েক দফায় মোট ৮১ জন বাংলাদেশিকে একইভাবে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট