বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান কেবল হত্যার ষড়যন্ত্রই করেনি, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর মৃত মানুষের চরিত্র হননেরও চেষ্টা করেছেন।

সোমবার বিকেলে শোকের মাস আগস্টের শুরুতে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী-পরাজিত শক্তি, তাদের বিচার হচ্ছে, রায় আমরা কার্যকর করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারপরও এদের প্রেতাত্মারা, এদের সন্তান-সন্ততি অনেকেই রয়ে গেছে। তারা এখনো বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে কৃষকলীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছে- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই বাড়ি আমাকে হস্তান্তর করার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আইনজীবীর মাধ্যমে বাড়ি বুঝে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। তখন বুঝতে পারিনি তাদের তাড়া কেন! বাড়ি হস্তান্তর করার পর ৪০ দিন ধরে টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে ওই বাড়িতে হীরা, মুক্তা, টাকা পাওয়া গেছে। আর জিয়া একটি ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া জামা রেখে গেছে। ১শ’ টাকার নোট বঙ্গবন্ধু বন্ধ করেছিলেন। সেই নোট ট্রাঙ্ক ভরে এনে দেখিয়েছিলো এসব পাওয়া গেছে ওই বাড়িতে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলার মানুষ এসব বিশ্বাস করেনি। কারণ দেশকে কে কতটুকু দিয়েছে তা মানুষ জানে। কৃত্রিমভাবে চরিত্র তৈরি করে সত্য চাপা দেওয়া যায় না। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম জানতেই পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ তারা শুনতে পেয়েছে।’

শেখ হাসিনা জানান, ‘মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। এখন মানুষ অনেক সতর্ক। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। চাইলেই আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার সযোগ নেই।’

বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া। আমি শুনেছি, বাবা কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করছি সেভাবে কাজ করতে।

তিনি বলেন, এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ। এটাও তাদের সৃষ্টি। গোঁড়ায় গেলে দেখা যাবে, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির উত্তরাধিকাররাই এতে জড়িত। এরাও পরাজিত হবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই হবে আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।’

‘এজন্য জনগণের আরো সচেতন হওয়া উচিৎ, তাদের আরো সহযোগিতা দরকার,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট