বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার থেকে রোজা

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৫

বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার থেকে রোজা

বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে রোববার (২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল রবিবার থেকে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। শনিবার ছয়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রবিবার (২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু। ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

এদিকে, চাঁদ দেখা যাওয়ায় এশার নামাজের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভোরে রোজা রাখার উদ্দেশে সেহরি খাবেন তারা।

এর আগে, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শুক্রবার রমজানের চাঁদের দেখা গেছে। ফলে, শনিবার থেকে এসব দেশে রমজান শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষও শনিবার রোজা শুরু করেছেন। তারা শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ শনিবার (১ মার্চ) রোজা শুরু করেছেন। তারা শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন।

অপরদিকে, পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবিহ পড়ার সময় দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।

এতে আরও বলা হয়, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব হবে।

দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট