নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার কীন ব্রীজ। এখন সুরমা নদীর উপর নতুন আরও চারটি সেতু হলেও এক সময় লোহার তৈরি এই ব্রীজটিই ছিল নগরীর একমাত্র প্রবশদ্বার। প্রায় শতবর্ষী এ ব্রীজ দিয়ে এখন ভারী যান চলাচল না করলেও নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব কমেনি। রিকশা বা পায়ে হেটে যাতায়াতে এখনো মানুষ বেছে নেন কীন ব্রীজ।
জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এই কীন ব্রীজ এখন রাতের বেলা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। ব্রীজের অধিকাংশ লাইটপোস্টে রাতে বাতি জ্বলে না। কোন কোন লাইটপোস্টের বাতি চুরি হয়ে গেছে, কোনটা আবার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে রাতের বেলা এই ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারী লোকজন প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হন। আলো স্বল্পতার কারণে ছিনতাইকারী, হিজড়া, যৌনকর্মী ও তাদের দালালরা অপকর্মের জন্য এই ব্রীজটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। রাতে ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই ছিনতাইর শিকার হন। এছাড়া যৌনকর্মী ও হিজড়াদের আক্রমণের শিকার হতে হয় পথচারীদের। পথচারী ও রিক্সারোহীদের গতিরোধ করে তারা জোর করে সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ইজ্জতের ভয়ে ওই সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চিৎকারও দিতে পারেন না। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটিতে অবিলম্বে আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারী লোকজন।