জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : সুরঞ্জিত

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৬

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেছেন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি মসজিদ-মন্দির বাজারসহ প্রতিটি এলাকায় জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে।
সুরঞ্জিত সেন বলেন- রাজনীতি যখন সৃজনশীল হয় না। তখন উন্নয়ন-শান্তি ও সমৃদ্ধ হয় না। তিনি বলেন- পৃথিবীর রাজনীতি আজ কঠিন থেকে কঠিন হয়ে উঠছে। বিশ্ব আজ প্রতিনিয়ত রাজনীতি বদলাচ্ছে। আজ কাবুলে, কাল মক্ষা শরীফে বোমা পড়ছে। ফ্রান্সে গুলি পড়ছে, জার্মানী আমেরিকায় গুলাগুলি হচ্ছে, আমাদের দেশও বাদ নয়। গুলশানে নীরিহ বিদেশী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ মানুষকে এভাবে জবাই করে হত্যা করতে পারে, আমরা কখনও ভাবি নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আজ নানা ষড়যন্ত্র চলছে-আওয়ামী লীগ সরকার দৃঢভাবে তা মোকাবেলা করছে।
সুরঞ্জিত সেন বলেন, রাজনীতি মানুষকে দেয় কিন্তু অপরাজনীতি মানুষকে  ধ্বংস করে। ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা আজ ধ্বংস হচ্ছে। রাজনীতি মানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা।
শনিবার দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়ের পরিচালনায় থানা পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সংবর্ধ্বনায় বক্তব্য রাখেন- মহিবুর রহমান মানিক এমপি, অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সিরাজ দৌলা তালুকদার, অভিরাম তালুকদার, আতাউর রহমান, রশিদ আহমদ বাচ্চু,ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী, এহচান চৌধুরী, শিবলী আহমদ বেগ, শাহজাহান কাজি, রেজোয়ান খান, পার্সি চৌধুরী, যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়, তাজুল ইসলাম, জুয়েল মিয়া, রাজীব রায় প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
সুরঞ্জিত সেন আরো বলেন, সেই শৈশব থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছি। রাজনীতিই একমাত্র পথ। রাজনীতিতেই আমার জীবন শেষ হবে। আমি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে যে ভাবে ভাবি। দিরাই-শাল্লাকে নিয়েও সেইভাবে ভাবি। এদেশে নির্বাচন হবে। তা ১৯’সালের কাছাকাছি সময়েই হবে। আমি ৭০’সাল থেকে ১৬ সাল ৪৬ বছর আপনাদের প্রতিনিধি ছিলাম। আমি উন্নয়ন করতে চাই। সেই উন্নয়ন হবে চেতনার ও শান্তির পক্ষে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট