সুরঞ্জিতের সভায় বোমা হামলা মামলায় আসামি আরিফ-গৌছ, শুনানী ৭ আগস্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ২০০৪ সালে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বিস্ফোরণ মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গৌছকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানী আগামী ৭ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (দিরাই জোন) এর বিচারক এ শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেন।

কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি বসু দত্ত চাকমা সুনামগঞ্জ আমল গ্রহণকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (দিরাই জোন)-এ আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গৌছকে দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনটি গ্রহণ করে আদালত বৃহস্পতিবার আবেদনটির শুনানীর জন্য দিনধার্য্য করেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে ওই দিন আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গৌছকে সুনামগঞ্জ আলম গ্রহণকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দিরাই জোন) আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গৌছকে সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার দিনধার্য্য ছিল। কিন্তু এদিন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফ ও গৌছকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করার তারিখ থাকায় সুনামগঞ্জ আদালতের শুনানীর সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক আরিফ ও গৌছকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানীর তারিখ আগামী ৭ আগস্ট ধার্য্য করেছেন।
সূত্র আরো জানায়, আবেদনে বসু দত্ত চাকমা উল্লেখ করেন, ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল হাওরের এ জনপদ। সে সময় অল্পের জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রাণে বেঁচে গেলেও নিহত হন যুবলীগ কর্মী ওয়াহিদ মিয়া। আহত হন অর্ধশত নেতাকর্মী। বিস্ফোরণের ঘটনায় আরিফুল হক ও জি কে গৌছ জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে তাদেরকে ওই মামলায় (নম্বর ৪৭/২০০৪) গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।

সুনামগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হক জানান, ‘সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের ২০০৪’এর ২১ জুনের সমাবেশে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আরিফুল হক ও জি কে গৌছকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন সিআইডি’র তদন্তকারি কর্মকর্তা। এর প্রেক্ষিতে আদালত শুনানীর জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিনধার্য্য করেন। কিন্তু ওই দিন সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তারিখ থাকায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করানোর সময় চেয়ে অবেদন করে কারা কর্তৃপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সময় মঞ্জুর করে এ মামলার শুনানীর জন্য ৭ আগস্ট পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট