১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২১
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রাইভেট পড়ানোর নির্ধারিত সময়ের পর মধ্যরাতে ছাত্রীর বাড়িয়ে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পুকুরে পড়ে নাকানিচুবানি খেল এক মাদরাসার শিক্ষক। ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই শিক্ষককে গণধোলাইও দিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুল বাশার উপজেলার সূর্যমনি হাচানিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে নিবন্ধনকৃত তিনি। তবে শিক্ষক হাবিবুল বাশার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে কথা উঠেছে তা সবই শোনা কথা। এর কোনো ভিত্তি নেই। এলাকায় একেকজন একেক কথা বলে।’
জানা গেছে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাড়িতে যায়। বাড়িতে ছাত্রীর বাবার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করে শিক্ষক। কিন্তু পালাবার সময় পুকুরে পড়ে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে ধরে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পাশের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওই রাতে এসে ছাড়িয়ে নেয়। ২/১ দিনের মধ্যেই এলাকা ছাড়ার শর্তসাপেক্ষে তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, এলাকায় হাবিব মাষ্টার নামে পরিচিত স্থানীয় মাদরাসার ওই শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে ইংরেজিসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রাইভেট পড়ান। এতে একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকরাও বিষয়টি অবগত হন। ঘটনার দিন বিষয়টি আরও নিশ্চিত হন অভিভাবকরা। মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বা অভিভাবক এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ না দিলেও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়ে মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নেন ওই লম্পট শিক্ষক। ছুটি নেওয়ার বিষয়টি মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. শাহ আলম নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপার বলেন, এলাকার একটি বিষয় নিয়ে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) হাবিবুল বাশার ওরফে হাবিব মাষ্টারের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতা মীমাংসা করে দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রীর বাড়িতে শিক্ষককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে- এমন খবরে সূর্মমনি (২নং ওয়ার্ড) গ্রামের ইউপি সদস্য হানিফ মিয়া ওই বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে একটি মুচলেকা তৈরি করে অভিভাবক ও স্থানীয়দের হাত থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করেন। ইউপি সদস্য মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউপি সদস্য স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা না করে তাৎক্ষণিকভাবেভাবে অভিযুক্তকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, ওই শিক্ষক চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়েছে। একটি ঘটনা শুনেছি। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D