শ্বাসরুদ্ধ জয়ে বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০

শ্বাসরুদ্ধ জয়ে বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে সফরকারীদের ৩২৩ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। জবাবে ৩১৮ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস। এতে ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ স্কোর : ৩২২/৮ (৫০ ওভার)
জিম্বাবুয়ে স্কোর : ৩১৮/৮ (৫০ ওভার)

শ্বাসরুদ্ধ জয়ে বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত

উইসলে মাধেভের আর সিকান্দার রাজার আউটের পর বাংলাদেশের সমর্থকরা ধারণা করছিলেন এবার সহজেই জিতে যাবে টাইগাররা। কিন্তু স্বাগতিকদের সহজেই জিততে দেননি ডোনাল্ড তিরিপানো আর টিনোটেন্ডা মুতোম্বোদজি। দুই জনের ব্যাটিং ঝড় দেখে মনেই হচ্ছিল এই বুঝি হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতে বাংলাদেশ। এতে ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

৩২৩ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টিনাসে কামুনুকামের ৫১, উইসলে মাধেভের ৫২ আর সিকান্দার রাজার ৬৬ রানের পর তিরিপানো ও মুতোম্বোদজির ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল জিম্বাবুয়ে। দুই জনের জুটি থেকে আসে ৮০ রান। তবে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আল আমিন হোসেন শিকার হন মুতোম্বোদজির। সাজঘরে ফেরার পূর্বে ২১ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস।

শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। তিরিপানো যেন ম্যাচটি নিজেদের করে নিচ্ছেন। শেষ ৪ বলে সফরকারীদের প্রয়োজন ১৮ রান। পর পর দুই বলে দুই ছয় মেরে ম্যাচটি সহজ করে ফেলে তিরিপানো। এতে শেষ দুই বলে তাদের প্রোয়জন হয় ৬ রানের। পঞ্চম বলটি ডট দেন আল আমিন। এতে শেষ বলে দরকার পড়ে ছয় রানের। কিন্তু বলটিতে এক রান নিয়েই ক্ষান্ত থাকেন তিরিপানো। শেষ পর্যন্ত ৪ রানের শ্বাসরুদ্ধ পায় বাংলাদেশ। তিরিপানো ২৮ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

ভয়ংকর রাজাকে ফেরালেন মাশরাফি

অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা চেষ্টা করছে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে। শৈল্পিক ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছে ক্যারিয়ারের ১৫তম অর্ধশতক। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া রাজা ভয়ংকর হয়ে উঠছে বাংলাদেশের জন্য। তবে ৬৬ রানেই তাকে থামিয়ে দেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি। ইনিংসের ৪২তম ওভারের পঞ্চম বলে রাজাকে নিজের প্রথম শিকার বানান মাশরাফি। ৫৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

সিকান্দার রাজার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। টিনোটেন্ডা মুতোম্বোদজি ৫ ও ডোনাল্ড তিরিপানো ২ রানে ব্যাট করছেন।

তাইজুলের জোড়া আঘাতে বিপাকে জিম্বাবুয়ে

রিচমন্ড মুতুম্বামি মাঠে নেমেই শুরু থেকেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। তবে তাকে বেশি দূর যেতে দেয়নি তাইজুল ইসলাম। মাত্র ১৯ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন এই স্পিনার। সাজঘরে ফেরার পূর্বে ১৭ বলে ৩ চারে সাজান নিজের স্বল্প সময়ের ইনিংসটি।

মাধেভেরের পর মুতুম্বামিকে হারালেও এক পাশ থেকে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। অতোমধ্যে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন তিনি।  উইকেটে আছেন মুতোম্বোদজি।

ভয়ংকর মাধেভেরকে ফেরালেন তাইজুল

১০২ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে উইসলে মাধেভের ও সিকান্দার রাজার জুটিতে সে চাপ সামলে ভালো ভাবেই এগোতে থাকে সফরকারীরা। ৮১ রানের জুটি গড়ে এ দুই জন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই অর্ধশতক তুলে নেন তরুণ ব্যাটসম্যান মাধেভের। তবে অর্ধশতক করার পরের বলেই তাকে সাজঘরের পথ ধরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের এলবির ফাঁদে পড়ে ৫২ রানেই ফিরতে হয় এই তরুণকে।

মাধেভেরেন বিদায়ের পর স্বস্তি এসেছে টাইগার শিবিরে। জয়ের জন্য ব্রেক থ্রুটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল স্বাগতিকদের। মাধাভের ফিরে গেলেও ৪৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিচমন্ড মুতুম্বামি (১১)।

মাধেভের-রাজার জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে সফরকারীরা। ১০২ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট। শুরুর সে চাপটা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান উইসলে মাধেভের ও সিকান্দার রাজা। দুই জনের ৮০ রানের জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকার দলটি।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মাধেভের। ৫৬ বলে ৫ চারে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান এই তরুণ। ৫২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। তার সঙ্গে ৪২ রানে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। দুই জনের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছে সফরকারীরা।

জিম্বাবুয়ের শতকের পর তাইজুলের ব্রেক থ্রু

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছে জিম্বাবুয়ের। তবে শক্ত হাতে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনার টিনাসে কামুনুকামে। দলকে টেনে নেওয়ার পাশাপাশি তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তার ব্যাটে চড়েই শতকের ঘরে পৌঁছায় সফরকারীরা। তবে প্রথম আন্তর্জাতিক অর্ধশতকের পর বেশিদূর এগোতে পারেননি এই ওপেনার। স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেন কামুনুকামে (৫১)। ৭০ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় সাজান নিজ ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি।

দলীয় ১০২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে সফরকারীরা। ব্যাট হাতে মাঠে আছেন উইসলে মাধেভের ১৭* ও সিকান্দার রাজা ২*।

এবার মিরাজের আঘাত, কাঁপছে জিম্বাবুয়ে

ইনিংসের ১০তম ওভারে দুর্দান্ত এক রান আউট করে সফরকারী জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম‌্যান টেইলরকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার বল হাতে উইকেট পেলেন তিনি। তার শিকার জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। ১৬তম ওভারের শেষ বলে উইলিয়ামসকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ২৪ বলে ৩ চারে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

দলীয় ৭০ রানের আগে তিন উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়েছে সফরকারীরা। তবে এক পাশ থেকে দলকে টেনে যাচ্ছেন ওপেনার টিনাসে কামুনুকামে। এখন পর্যন্ত ৪৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে উইকেটে আছেন মাধেভের।

মিরাজের ‌‘নিখুঁত নিশানায়’ ফিরলেন টেইলর

জিম্বাবুয়েকে জিততে হলে রেকর্ড গড়ে জিততে হবে। কারণ তাদের টপকে যেতে হবে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৩ রানের পাহাড় সমান স্কোর। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ চাপে আছে সফরকারীরা। দলীয় ১৫ রানে ওপেনার চাকাভাকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে দলটি। তৃতীয় উইকেটে খেলতে আসেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর।

টেইলরের শুরুটা দারুণ ছিল। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের ‌‘নিখুঁত নিশানায়’ রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে। দলীয় ১০ ওভারের তৃতীয় বলে শফিউলকে মোকাবিলা করতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন তিনি (১১)। ফিরে যান দলীয় ৪৪ রানে। উইকেটে আছেন কামুনুকামে ৩১* ও উইলিয়ামস ৮।

শুরুতেই শফিউলের আঘাত

পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের হয়ে প্রথম ওভার করতে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম পাঁচ বল ডট দেওয়ার পর ষষ্ঠ বলে দুই রান করে রানের খাতা খুলেন কামুনুকামে। পরের দুই ওভার কিছুটা সামলে খেলে চাকাভা ও কামুনুকামে। তবে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ইনিংসে প্রথম ধাক্কা খায় তারা। শফিউল ইসলামের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই কাভারে খেলতে গিয়ে লিটন দাসের তালু বন্ধি হন চাকাভা। ফিরে যান মাত্র ২ রানে।

জিম্বাবুয়ের সামনে বাংলাদেশের রেকর্ড রান পাহাড়

দীর্ঘ দিন পর রানে ফিরেছেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। শুধু রানেই ফিরেননি, গড়েছেন নতুন নতুন সব রেকর্ড। তামিমের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস, মুশফিকের অর্ধশতক আর মাহমুদউল্লার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। এতে আফ্রিকার দেশটির লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৩ রান। যা সফরকারী দেশটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছিল স্বাগতিকরা।

তামিম নিজ ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে তবেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ছিল তার প্রথম ১৫০ ঊর্ধ্ব  ইনিংস। আজ ১৩৬ বলে ২০ চার ৩ ছক্কায় ১৫৮ রান করেন দেশ সেরা এই ওপেনার।

৫০ বলে ৫৫ রানের ইনিসং খেলেন মুশফিকুর রহীম। যেখানে ছিল ৬টি চারের মার। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের।

তামিমের ১৫০, রানের পাহাড় গড়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০ ঊর্ধ্ব রান করার রেকর্ডটি দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। এবার আবারও ১৫০ ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন তামিম। তামিমের চার-ছয়ের ঝড়ে সিলেটে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

জ্বলে উঠলেন তামিম, সিলেটে চার-ছক্কার ঝড় 

প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান।  ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সবশেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম। মাঝে লম্বা সময় পাননি সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে ১ বছর ৭ মাস পর পেলেন সেঞ্চুরি।

৩৭তম ওভারে শন উইলিয়ামসের ষষ্ঠ বলে ২ রান নিয়ে ৯৯ থেকে ১০১ এ পৌঁছান তামিম। ১০৬ বল খেলে ১৪ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন ড্যাশিং এই ওপেনার। ৪২ বলে ১০ চারে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। এরপর ৬৪ বল খেলে ৪ চারে পরের ফিফটি রান করেন।

সেঞ্চুরি করেই থেমে নেই তামিম; সিলেটে চার-ছক্কার ঝড় তুলছেন। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটিও গড়েছেন। অবশ্য মাহমুদউল্লাহ ৫৭ বলে ৪১ রানে ফিরেছেন। কিন্তু তাতে কি থেমে নেই তামিমের ব্যাট। চার-ছক্কার ঝড় বইয়েই যাচ্ছে সিলেটে।

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৬৩ রান। উইকেটে আছেন, তামিম ইকবাল (১৪৫) এবং মিঠুন (১)।

সেঞ্চুরি করে সমালোচনার জবাব দিলেন তামিম 

প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১০৩ রান করেছিলেন সে ম্যাচে। এরপর ২০ মাসে সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি।

সেঞ্চুরির খরায় থাকা তামিমের সমালোচনা হয়েছে অনেক। দেশের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম অবশেষে সেই খরা কাটালেন। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতকের দেখা পেলেন।

এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের ১২তম সেঞ্চুরি। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের মাটিতে আজকের সেঞ্চুরিটি তামিমের ষষ্ঠ শতক।

শন উইলিয়ামসের বলটা অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে পেলেন সেঞ্চুরি। ১০৫ বলে পেলেন তিন অঙ্ক, বলতে গেলে তেমন কোনো উদযাপনই করলেন না। এর আগে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাত হাজার রানের ক্লাবেও প্রবেশ করেছেন তামিম।

৩৮তম ফিফটি করে ফিরলেন মুশি 

মাধেভেরকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন কাউ কর্নার দিয়ে, ডাউন দ্য উইকেটেও এসেছিলেন। কিন্তু টাইমিং হলো না ঠিকমতো। লং অনের বাউন্ডারিতে ভালো একটা ক্যাচ ধরলেন মুতুম্বামি। ৫০ বলে ৫৫ রান করে ফিরলেন মুশফিক।

তামিমের সঙ্গে ৮৭ রানের মূল্যবান জুটি গড়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এর আগে, মুশি ৪৭ বলে পেলেন ফিফটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের যা ৩৮তম। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অষ্টম।

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান। উইকেটে আছেন, তামিম ইকবাল (৯৩) এবং মাহমুদউল্লাহ (৯)।

তামিম-মুশফিকের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ 

দারুণ শুরুর পর রান আউট হয়ে লিটন ফিরলে তামিমের সঙ্গে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভুল বোঝাবুঝিতে শান্ত রান আউট হয়েছেন। এরপর তামিমের একটা বড় জুটি দরকার ছিল; সেটিই করে যাচ্ছেন মুশফিক।

তামিম-মুশির ব্যাটে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছুঁইছুঁই। এই জুটি থেকে এসেছে ৮০ রান।

বীভৎস রান আউটে ফিরলেন শান্ত

অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ম্যাচেও হয়েছেন ব্যর্থ। তবে এবার তিনি বীভৎস এক রান আউটের শিকার হয়েছেন। বললে ভুল হবে না নিজের উইকেটটা স্যাক্রিফাইসই করেছেন শান্ত।

ভুল বুঝাবুঝিতে উইকেটটি হারায় বাংলাদেশ। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বল ফাইন লেগে ঠেলে দেন শান্ত। তবে রানের জন্য দৌড় দেননি কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা তামিম দৌড়ে চলে যান স্ট্রাইক প্রান্তে। অগত্যা রান নেওয়ার জন্য উইকেট ছাড়ে শান্ত। কিন্তু তখন দেরি হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ফিরতে হয় শান্তকে। দলীয় মাত্র ৬৫ রানে ৯ রান করা শান্তকে ফিরতে হয়।

শুরুতেই রান আউটের শিকার লিটন 

এই আউটের পর নিজের কপালকে ছাড়া আর কাকে দোষ দেবেন লিটন কুমার দাস! তামিম ইকবালের স্ট্রেইট ড্রাইভটা গেল সোজা চার্ল মুম্বার দিকে, তবে সেটি ধরতে ব্যর্থ হলেন এই পেসার। তার ডান কবজির পর বাঁ পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করল বলটা, যেটি পরে গিয়ে আঘাত হানল স্ট্যাম্পে। বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকা লিটন চেষ্টা করলেও সময় মতো ফিরতে পারেননি। ভাঙে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। দুই চারে ১৪ বলে ৯ রান করেন লিটন।

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ ওভারে ১ উইকেটে ৫৯ রান। উইকেটে আছেন, তামিম ইকবাল (৪৪) এবং নাজমুল হোসেন শান্ত (৫)।

আক্রমণাত্মক শুরু তামিমের 

প্রথম টেস্টে ২৪ রানে রিভিউ নষ্ট করে ফিরেছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। রান করতে না পারায় সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাট করে যাচ্ছেন। প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪ রান; যেখানে তামিমের একার রান ২৪।

দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশের একাদশে আজ এসেছে দুই পরিবর্তন। পেস অলরাউন্ডার সাইফের জায়গাতে ফিরেছেন শফিউল ইসলাম এবং কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে বাদ দিয়ে আল আমিনকে নেওয়া হয়েছে একাদশে।

এ দিকে, জিম্বাবুয়ের একাদশেও এসেছে দুই পরিবর্তন। আগের ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা চামু চিবাবার জায়গাতে আজ দায়িত্ব সামলাবেন শন উইলিয়ামস। আর ক্রেইগ আরভিনের জায়গাতে নেওয়া হয়েছে  চার্ল্টন টিশুমাকে।

বাংলাদেশের একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), আল আমীন ও শফিউল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ের একাদশ : টিনাসে কামুনুকামে, রেজিস চাকাভা, শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), ব্রেন্ডন টেইলর, উইসলে মাধেভের, সিকান্দার রাজা,  রিচমন্ড মুতুম্বামি  (উইকেটরক্ষক),  টিনোটেন্ডা মুতোম্বোদজি, ডোনাল্ড তিরিপানো, চার্ল মুম্বা, চার্ল্টন টিশুমা।