দুর্বল হয়ে পড়েছে ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’

প্রকাশিত: ২:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৯

দুর্বল হয়ে পড়েছে ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’

কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক আয়শা খাতুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিমি। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর পূর্ব দিকে প্রতি ঘণ্টায় আট কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে রাত ৯টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম শুরু করেছে। এটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম এলাকায় (২১.৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।