গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক হামলার শিকার

প্রকাশিত: ২:০৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০১৯

 গোলাপগঞ্জে সাংবাদিক হামলার শিকার

Manual5 Ad Code

সিলেট সংবাদ ডেস্ক : গোলাপগঞ্জে দুই’পক্ষের বিরোধ ভাঙ্গাতে গিয়ে সেলিম হাসান কাওছার নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। দুইদিন থেকে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। ওই সাংবাদিক দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি এবং গোলাপগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটির সেক্রেটারী।

স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত (৫মে) শনিবার তিনজন রাজমিস্ত্রি ওই সাংবাদিকের বাড়ীতে কাজ করছিল। বিকাল অনুমান ৪টার সময় ওই কাজের ঠিকাদার বিয়ানীবাজার আলীনগর চন্দ্রগ্রামের মৃত হবিব আলীর ছেলে তজমুল হকের উপর গালিগালাজ করে মারধর শুরু করে রণকেলী উত্তর গ্রামের খয়রুদ্দিনের ছেলে আহাদ।

Manual3 Ad Code

এসময় সাংবাদিক কাওছার ওই হামলাকারীকে চলে তাড়িয়ে দেন। বিকাল ৫টায় ওই সাংবাদিকের বাড়ীর কাজ শেষ হওয়ার পর রাজমিস্ত্রিরা কাজ শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওয়ানা হলে ধারালো দা-সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অৎ পেতে থাকা একই পরিবারের সঙ্গবদ্ধ লোকজন তাদের গতিরোধ করেন। এসময় সাংবাদিক কাওছার এর প্রতিবাদ করায় হামলাকারীরা তার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাদের ধারালো দায়ে কূপে ওই সাংবাদিক মাঠিতে লুটিয়ে পড়ার পর ওই মামলার সাক্ষীসহ প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন দায়ের কূপ মাথার প্রায় দুই ইঞ্চি গভীর যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩য় তলার এম-৭ এ ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।

Manual4 Ad Code

রাজমিস্ত্রি ঠিকাদার তজমুল হক জানান-হামলাকারীদের কাজ করে টাকা না পাওয়ায় আমি তাদের কাজে আর যাইনি। কাজে না যাওয়ার কারণে সাংবাদিকের বাড়ীতে কাজে দেখে আমাকেও মারধর করে। মারধরের প্রতিবাদ করায় তারা কাওছার ভাইর উপর হামলা চালিয়েছে।

ওই ঘটনায় সাংবাদিক কাওছার হাসপাতালে ভর্তি থেকে ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে হামলাকারী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রণকেলী উত্তর গ্রামের খয়রুদ্দিনের ছেলে আহাদ আহমদ (২৬) ও সামাদ আহমদ (৩০) এবং ইরফান আলীর ছেলে খয়রুদ্দিন (৫৫)সহ অজ্ঞাত ১জনকে আসামী করে ১৮/০৫/২০১৯ইং গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন।

Manual4 Ad Code

গতকাল রবিবার দুপুরে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খাঁন জালাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন এবং সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ খবর নেন। এ ব্যাপারে গোলাগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, এসআই খাঁন জালালকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। আসামীদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।

Manual4 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code