মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আসুন ঐক্যবদ্ধ হই : ফখরুল

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০১৮

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আসুন ঐক্যবদ্ধ হই : ফখরুল

দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র উদ্ধার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিজ ক্লাবে রাজনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে ইফতার করতে হচ্ছে। দেশের এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের সংকটে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি, আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ তাদের মূল্যবান অবদান রাখবেন। জাতিকে এই সংকট উত্তরণে তারা নেতৃত্ব দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একথা সব সময় বলে আসছি এবং আমরা বিশ্বাস করি- এই সময়ে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। গণতন্ত্র উদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে- আসুন দেশের এই প্রয়োজনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সহ-সম্পাদকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার অনুষ্ঠানে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা বেশি না হলেও কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে দুরু দুরু করে। কাঁপবে না কেন? তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কি হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে- এবারে আমাদের কি হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।

তিনি বলেন, একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কি হবে? এটা কী খুব ভালো কথা, এটা কী রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কী দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কী ইংগিত নয় যে, আবার একটা পর্যায় যেতে পারে দেশ, যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করে, নিগৃহিত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়- তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথড্র করব, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। একমাত্র তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর নেতা মিয়া গোলাম পরোয়ার, নুরুল ইসলাম বুলবুল, আবদুল হামিদ, এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান, মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাগপা সভাপতি রেহেনা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লোতফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সভাপতি মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামারুজ্জামান, পিপলস্ লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লেবার পার্টির (অপরাংশ) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী প্রমুখ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট