গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরু : খালেদা

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৭

গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরু : খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দাবি করেছেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে ক্ষমতাসীনদের নির্দেশেই আইনশৃংখলা বাহিনী হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বর্তমান সরকার রেহাই দিলেও সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতার দাপটে জনগণকে ভয় পাইয়ে দেয়ার অপকৌশল করে কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, আমি আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারা নির্মমভাবে নিহত নুরুল আলম নুরুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকে কাতর পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুরুল আলম নুরুকে পুলিশ আটক করেও অস্বীকার করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ চট্টগামের রাউজান উপজেলার দাগুয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে খেলাঘাট কৈয়াপাড়া এলাকায় ফেলে রাখা হয়।

এ পৈশাচিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বাংলাদেশকে গোরস্থানে পরিণত করাই যেন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য। দেশের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মৃত্যু বিভীষিকা ওঁৎ পেতে আছে। দেশের মানুষ আজ রক্তহিম করা ভীতি এবং উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। চারিদিকে সংশয়-ভয়জনিত আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, রক্তাক্ত সহিংসতা আওয়ামী দুঃশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ সরকারের ক্রোধের প্রধান টার্গেট হচ্ছে যুবক ও তরুণরা। ফ্যাসিস্টদের ভয়াবহ ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রতিবাদী তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। আর সেজন্যই দেশবিরোধী নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে তারুণ্যের দ্রোহকে নির্মূল করার জন্যই আওয়ামী সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তির ছাত্র ও যুবকদের হত্যা করছে। সরকারের এ ধারাবাহিক প্রাণঘাতী নৃশংসতার করুণ শিকার হয়েছে নুরুল আলম নুরু।

খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্রনেতা নুরুল আলম নুরু হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। এ জন্যই তাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে সরকার বাক, চিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে, সেই সরকার নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করে না। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

বিবৃতিতে বলেন, সরকার নিজেই দুর্বিনীত অনাচার সৃষ্টি করে দেশকে এক মহাদুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তবে রক্তাক্ত পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে লাশের স্তূপ বানিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না বর্তমান শাসকগোষ্ঠী।

ক্ষমতাসীনরা টের পাচ্ছে না যে, তাদের অপকীর্তি ও অনাচারের জন্য তাদের দিকে মহাদুর্দিন এগিয়ে আসছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারের অপশাসনে দেশের সামগ্রিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এখন কুৎসিত রূপ ধারণ করেছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট