সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম খানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩

সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম খানের দাফন সম্পন্ন


সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-দক্ষিণ সুরমা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট নুরুল ইসলাম খানের জানাযার নামাজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাযের ইমামতি করেন মরহুমের ভাতিজা ফখরুল ইসলাম খান। জানাযায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নোমান আহমদের পরিচালনায় জানাযা নামাজ পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাপ্রোপ্ত সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান, সরদের প্রবীন ব্যবসায়ী হাজি উলফত আলী, প্রবাসী সাংবাদিক বিশিষ্ট লেখক রহমত আলী, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আলতাফুর রহমান প্রমুখ।

মরহুমের প্রথম জানাযা মঙ্গলবার বাদ আসর হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে, বাদ এশা বিশ্বনাথ দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ এবং রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় বিশ্বনাথ পৌর এলাকার শ্রীধরপুর গ্রামে মরহুমের নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।

এরআগে তিনি মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় সিলেট নগরের একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন।

বিশ্বনাথ উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ ফিরুজ খানের পুত্র অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান ১৯৪৬ সালের ১৬ই জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তৎকালীন বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা এলাকা নিয়ে গঠিত সিলেট-৭ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিশ্বনাথের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বনাথী সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট নুরুল ইসলাম খান ওই সংসদের সর্বকনিষ্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন এবং জেনারেল ওসমানীর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন নুরুল ইসলাম খান।

এছাড়া তিনি বিশ্বনাথ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র, ২ কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।

জানাযার নামাজ শেষে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় নুরুল ইসলাম খানকে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট