সড়ক দুর্ঘটনা দেখতে চাই না : মুজিবুর রহমান মঞ্জু

প্রকাশিত: ১:২২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২২

সড়ক দুর্ঘটনা দেখতে চাই না : মুজিবুর রহমান মঞ্জু

এবি পাটি ( আমার বাংলাদেশ-) পাটির সদস্য সচিব, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক, মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন

এসব দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে কর্তৃপক্ষ আগে থেকে কতটা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দেশে সারা বছর জুড়ে যে দুর্ঘটনার মিছিল অব্যাহত রয়েছে, তা থেকে কোনোভাবে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দেশে প্রতিমাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও সরকারের দায়িত্বশীলরা বরাবরের মতোই গা করেন না। দেশে, এ মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ যে খবরটি মানুষকে ভয়ের মধ্যে ফেলে রেখেছে, তা হলো সড়কের মৃত্যুর মিছিল ।

তিনি বলেন আমরা আশা করবো, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামানোর ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। গত এপ্রিল মাসে সড়কে ৪২৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩ জন। মৃত্যুর এই চিত্র বিশ্বের অন্য কোনো দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। এ ব্যাপারে গবেষক এবং অভিজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামানোর জন্য প্রতিমুহূর্তেই সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে সরকারের নানা অঙ্গপ্রতঙ্গ যেনো এতে মোটেই সাড়া দিচ্ছে না। কেনো দিচ্ছে না, তা সরকার ভালো বলতে পারবে। কী কী করলে দেশের সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হবে তা কি সরকারের জানা নেই। আর যদি সরকারের সেটি জানা থাকে তাহলে কেনো সড়ক দুর্ঘটনা থামানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পাটির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু ।

আজ ( ২ আগস্ট মঙ্গলবার-) রাত ৯ টায় সেগুনবাগিচায় গত ২৫ জুলাই রাত সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর সাইন্সল্যাবে মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন, বাংলাদেশ জ্ঞান সৃজনশীল প্রকাশক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সদস্য, নয়াদেশ বিশেষ প্রতিনিধি, মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারকে দেখতে তাঁহার বাসায় উপস্থিত হয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন । সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বাঁযক গাজী নাসির।
সেই সাথে অলিদ তালুকদারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশবাসীসহ সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
এই দূর্ঘটনায় অলিদ তালুকদারের ডান পা ভেঙ্গে গেছে, সেই সাথে মাথায় প্রচুর আঘাত ও শারীরিক অবস্থা এখনও ভালো নয় ।

মুজিবুর রহমান মঞ্জু আরোও বলেছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলতে পারেন, সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না এটা ভুল ধারণা। আমরা বলতে চাই, যদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েই থাকে তাহলে বিদায়ী মাস এপ্রিলে কেনো সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন মারা গেল। এর উত্তরে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কি বলবেন। সড়কে মৃত্যুর যে মিছিল দেখতে হয়, এর কারণ হলো- মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারী নিহতের ঘটনাও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলে না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। সড়কে দুর্ঘটনারোধে এগুলো কি বন্ধ করা যায় না?

সরকার কি পারে না এগুলো বন্ধ করতে? আমরা মনে করি, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আন্তরিক হলেই পারেন। জানা গেছে,গত এপ্রিল মাসে দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব দুর্ঘটনায় মোট ৫৪৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ৬১২ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৮১টি শিশু রয়েছে।

তিনি বলেন আমাদের মনে হয়, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এবার সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসা উচিত। ভাবা উচিত কত দ্রুত এটি বন্ধ করা যায়। সড়ক দুর্ঘটনা দ্রুত কমিয়ে আনা যায়। সরকারের যেসব ব্যক্তির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উচিত তাদের বিতাড়িত করা। সরকারকে দেশের মানুষের মনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে কঠোর হাতে সড়ক দুর্ঘটনার রাশ টেনে ধরতে হবে। বন্ধ করতে হবে সড়কে মৃত্যুর মিছিল। আমরা আর সড়কে মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না।