১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমরা মাতৃভাষাকে মর্যাদা দেই না, উপলব্ধি করি না। নিজের ভাষার ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই’।
আমাদের কিছু দেশিয় সংস্কৃতি আছে, যা আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই পালন করি। এই আচার-অনুষ্ঠানগুলো ধর্ম-বর্ণ দিয়ে আলাদা করা যায় না।
সাংস্কৃতিক ঐক্য ছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতাও সম্ভব নয়। সাংস্কৃতিক ঐক্য না থাকলে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে দেশিয় সাংস্কৃতিক পরিষদ (দেসাপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।‘ঐক্য, উন্নয়নে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মাতৃভাষা ও দেশিয় সংস্কৃতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাভাপতিত্ব করেন দেসাপ এর সভাপতি অ্যাড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর।
সভায় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাড. লায়েকুজ্জামান, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি দুঃখিত, বলেছিলাম বাংলায় রায় দেব, তা দিতে পারি নাই। টেকনোলজির কারণে সেটা দেরি হয়ে যায়। অভিজ্ঞ লোক না থাকার কারণেই এটা হয়। আমরা আদালতের ভাষা বাংলায় উন্নীত করতে পারিনি। আমরা বাংলায় ডিটেকশন দিতে পারি না। আমরা যদি ভালো বাংলা জানি তবে অন্য যেকোনো ভাষায় তা ভাষান্তর করতে অসুবিধা হওয়ারও কথা নয়’।
তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো, দু-একজন বিচারক বাংলায় রায় লিখছেন। আমাদের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সংস্কৃতির ওপর অতীতেও আঘাত এসেছে, এখনো আসছে। উগ্রবাদীরা বোমা মেরে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে’।
বিচারক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে একটি আইন হোক এটি আমিও চাই। আমরা সবাই চাই। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। উনাকে অভিনন্দন জানাই। বিভিন্ন দেশে এটি আছে। আশা করি, আমরাও করতে পারব। তবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারকের স্বল্পতা বিবেচনায় আপাতত বিচারক নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাব’।
তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত আদেশ পাওয়ার জন্য রিসার্চ উইং নামে একটি সেল গঠনের চেষ্টা করেছিলাম। যেন প্রত্যেকটা জামিনের আদেশ, নিষেধাজ্ঞার আদেশ সাথে সাথে পক্ষ-বিপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া যায়। এটি এখনো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন। আইন মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করলে এটা হয়ে যাবে’।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D