১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
জালিয়াতি এবং প্রতারণার দুই মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির হোসেন পাটোয়ারীর আদালতে শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির কথা থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই শুনানি হয়।
আসামি পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এর্শাদুল হক ও অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে জেরায় অংশ নেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন জানান, জেলা দায়রা জজ আদালতে রাগীব আলীর দুটি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের সময় চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে বন্দোবস্ত নেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আবদুল কাদের বাদি হয়ে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। এ রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত এক আদেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন। গত ১০ জুলাই রাগীব আলী ও ছেলেকে অভিযুক্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরদিন ১১ আগস্ট তারা ভারতে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় দুই আসামির অনুপস্থিতিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়।
৩ মাস ভারতে পালিয়ে থাকার পর গত ১২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় গ্রেফতার করা হয় আব্দুল হাইকে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ থেকে রাগীব আলীকে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। পরদিন তাকে দেশে ফেরত পাঠায় ভারত। গত ৪ ডিসেম্বর ভূমিন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি মামলায় সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম সাঈদুজ্জামান হিরোর আদালতে শিল্পপতি রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইয়ের ৭ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করা হয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D