ছাতকে লাইসেন্স বিহীন কৃষিবীজও কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:০৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬

চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ও লাইসেন্স বিহীনভাবে কৃষিবীজ ও কীটনাশক বিক্রি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বীজ ও কীটনাশক বিক্রির সরকারী বিধান অনুসরণ না করেই প্রকাশ্যেই তারা বিক্রি করা হচ্ছে বীজ ও কীটনাশক। কৃষি অধিদপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্ত ডিলারদের ক্ষেত্রেও সার, বীজ ও কীটনাশক বিক্রির মুল্য তালিকা লালসালুতে লিপিবদ্ধ করে দোকানে সাটিয়ে রাখার সরকারী বিধান থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া নির্ধারিত মুল্যের তোয়াক্কা না করে কৃষকদের কাছে চড়া মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে সার ও কৃষি সামগ্রী। এ অপরাধে একজন ডিলারকে ইতিমধ্যেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের কোর্ট রোড এলাকার কৃষি বীজঘরের মালিক ও বিসিআইসি কর্তৃক অনুমোদিত সার ডিলার শামীম আল মামুন তার কৃষিবীজ ব্যবসা ইস্তফা দিয়ে গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলে ৪ ডিসেম্বর তা অনুমোদন করা হয়। শামীম আল মামুনের ছেড়ে দেয়া দোকান কোটা ভাড়া নিয়ে কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ও লাইসেন্স বিহীনভাবে এখানে বীজ ও কীটনাশক বিক্রি করে যাচ্ছেন কদরিছ খান নামের এক সার ব্যবসায়ী। সরকারী বিধান অনুযায়ী ডিলারদের স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে গোদামে বীজ সংগ্রহ ও বিক্রি করতে হয়। কীটনাশক বিক্রির ক্ষেত্রে যথাযত কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে বৈধভাবে বিক্রি করার সরকারী বিধান রয়েছে। ব্যবসায়ী কদরিছ খান আইনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ পন্থায় কোর্টরোড এলাকার শামীমের ছেড়ে যাওয়া দোকান কোঠায় কৃষিবীজ ও কীটনাশক প্রদর্শন ও বিক্রি করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে। অনুমোদন প্রাপ্ত ডিলার ছাড়া সার, কৃষিবীজ ও কীটনাশক প্রদর্শন ও বিক্রি কৃষি আইনের সম্পূর্ন পরিপন্থি বলে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরধারীতে আনা জরুরী প্রয়োজন বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন। জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কৈতক গ্রামের কৃষক প্রদীপ রঞ্জন পুরকায়স্থ ও ছালিক মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে চড়া মুল্যে সার বিক্রির অপরাধে একই সার ব্যবসায়ী কদরিছ খানকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জবাব দেয়ার জন্য গত ২৮ নভেম্বর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়। সরকার নির্ধারিত মুল্যের অতিরিক্ত মুল্যে সার বিক্রি করায় তার ডিলারশীপ বাতিলসহ শাস্তি বিধান কেন রাখা হবে না এ মর্মে চিঠি প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। সার ব্যবসায়ী কদরিছ খান জানান, কোর্ট রোডের তার দোকানে গত দু’ সপ্তাহ ধরে কৃষিবীজ নেই। তিনি লাইসেন্সসহ বৈধভাবে এ দোকানে কৃষিবীজ ও কীটনাশক বিক্রি করে যাচ্ছেন। চড়া দামে সার বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি জানান, উপজেলাসহ সারা দেশেই চড়া মূল্যে সার বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি এর জবাব দেননি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক জানান, অনমোদন প্রাপ্ত ডিলার ছাড়া রাসায়নিক সার, কৃষিবীজ ও কীটনাশক গোদামজাত, প্রদর্শন ও বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কৃষি আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট