২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৬
কামরুল হাসান সবুজ : ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কর্তব্যরত ডাক্তারসহ ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় তাদের হামলায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ব্যাাপক ভাংচুর করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাণ ভয়ে সবগুলো গেট তালাবদ্ধ করে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দিনব্যাপী চিকিৎিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপুল সংখ্যক রোগি বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রোববার সকাল ৯টায় শহরের চরেরবন্দ এলাকায় বসবাসরত পৌর কাউন্সিলর নওশাদ মিয়ার ভাতিজা খালেদকে মোবাইল ফোনে একই গ্রামের রহিম উদ্দিন গালিগালাজ করে। এর জের ধরে কাউন্সিলর নওশাদ মিয়া পক্ষের সাথে প্রতিপক্ষ রহিম উদ্দিন ও আঙ্গুর মিয়ার সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে দু’পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৫জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আব্দুর রহিম ও আঙ্গুরের জখমী লোকজন ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কাউন্সিলর নওশাদ মিয়ার লোকজন তাদের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। এসময় ডাক্তারদের কাছে তাদেরে রোগিদের হাসপাতাল থেকে বের করার দাবি জানায়। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগিদের বের করে না দেয়ায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। এসময় হাসপাতালের এমার্জেন্সী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আবু সালেহীন ইট-পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এতে হাসপাতালের গøাস ও এমার্জেন্সী বিভাগের চেয়ার-টেবিল, ফ্রিজের ওষুধপথ্যসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুরে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ঘটনার সময় হাসপাতালের সবগুলো গেটে তালা লাগিয়ে ডাক্তাররা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। অবরুদ্ধ অবস্থায় প্রায় ৩ঘন্টা কাটান ডাক্তাররা। পরে সবগুলো গেটে পুলিশ প্রহরা চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে সমাজসেবী সৈয়দ মোহাম্মদ তিতুমীর, আবুল হায়াত, আবু হোরায়রা ছুরত, বাবুল রায়, জাহাঙ্গীর আলমসহ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালের একটি গেট খুলে দেয়া হয়।
জানা গেছে, রোগির প্রতিপক্ষদের হাসপাতালে হামলার ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। গত ২১ আগষ্ট কালারুকা গ্রামের লায়েক মিয়ার উপর এ হাসপাতালে প্রতিপক্ষরা হমলা চালায়। এরআগেও হাসপাতালে আরো একাধিক হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের ইউএইচও ডাক্তার অভিজিত শর্মা জানান, দু”ঘন্টার অধিক সময় অবরুদ্ধ ছিলেন ডাক্তাররা। এ হামলায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানান তিনি। কাউন্সিলর নওশাদ মিয়া হাসপাতালে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তাকে ফাঁসাতে একটি নাটক সাজানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে পুলিশী টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D