২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৬
ভারতে ৫০০ ও ১০০০ রুপি নোট নিষিদ্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানে যাওয়া বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আসা বহু রোগী ও তাদের পরিবারের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ লাখের মতো মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং পর্যটনের জন্য ভারতে যায়। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রায়ই ভারতে আসা-যাওয়া করে। তাদের অনেকের কাছেই নগদ ভারতীয় রুপী জমা থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইএম বাইপাস লাগোয়া দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছেন বহু বাংলাদেশী মানুষ। তাদের বেশিরভাগেরই নাজেহাল অবস্থা।
যশোরের মিজাউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে বুধবার কলকাতায় এসেছেন। পঞ্চসায়রের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাদের ডাক্তার দেখানোর কথা। সেইমতো অ্যাপয়েন্টমেন্টও করা ছিল। এদিন বিকালে গেস্ট হাউসের সামনেই তাদের সঙ্গে দেখা। হনহন করে চলেছেন হাসপাতালের দিকে। কী সমস্যা, জিজ্ঞাসা করতেই এক রাশ অভিযোগ নিয়ে রহমান সাহেব বললেন, কী মুশকিলেই না পড়লাম। সকালে গড়িয়ার একটি ব্যাংকে গিয়ে পুরানো নোটের বদলে নতুন টাকা পাই। দু’জনে যাওয়ায় মোট আট হাজার টাকা হাতে পেয়েছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আবার ফিরিয়ে নেয় ব্যাংক।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আমাদের বিমানবন্দরে যেতে হবে। সেখান থেকে টাকা বদলানো যাবে। কী আর করব। বাধ্য হয়েই ফিরে এলাম গেস্ট হাউসে। এদিন আর ডাক্তার দেখানো হল না। এবার ইন্ডিয়া আসাটাই বৃথা হয়ে গেল। শুক্রবার দেশে ফিরে যাব। এরকম হয়রানি আর কখনো হয়নি।
একই হাল বাংলাদেশ থেকে আসা সাবির রহমানেরও। তিনি বললেন, সকাল থেকে ব্যাংকে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু এত লাইন, টাকাই তোলা হল না। খাওয়া আর যাতায়াতের টাকা ছাড়া হাতে অবশিষ্ট কিছু নেই। ফলে যে কারণে এসেছিলাম, তা আর হল না। আজই ফিরে যাব। একই অভিজ্ঞতা সে দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আসা অসংখ্য রোগী ও তাদের পরিজনের।
বেলা শেষে কয়েকজন আবার টাকা জোগাড় করলেও, সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ঢুকতে না পারায়, ডাক্তারকে ধরতে পারেননি। সেই ডাক্তার চলে গিয়েছেন অন্যত্র। কবে আবার তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিলবে, তা নিয়ে চিন্তিত তারা।
অন্যদিকে, বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুরের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিত্র একটু আলাদা। তবে হয়রানি ও ভোগান্তির ছবিতে একই।
হাসপাতালের ভিতরে বড় বড় পোস্টার লাগিয়ে বলা হয়েছে, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট অচল। তাতে বহু বাংলাদেশি যথেষ্ট ফ্যাসাদে পড়েছেন। কেউ কেউ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে টাকা জোগাড় করেছেন।
পড়শি দেশের নাগরিক সাহানারা বেগম শোনালেন তার হয়রানির কথা। তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ১০০ টাকার নোট ছিল না। তবে আগে জেনে যাওয়ায় এদিক ওদিক থেকে ১০ টাকার বান্ডিল জোগাড় করেছি। তবে ১০০ টাকা বাটা দিয়ে ৭০ টাকা পেয়েছি। টাকা ভাঙাতে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটাও করতে হয়েছে। ওই টাকা জোগাড় করতেই আমাদের সারাদিন চলে গিয়েছে।
ঢাকার বাসিন্দা আফজল হোসেনের বক্তব্য, ডাক্তার দেখাতে এসে জানতে পারি, এখানে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে তার নীচের কোনো কারেন্সি ছিল না। তারপর এদিক-ওদিক থেকে কোনোমতে টাকা জোগাড় করেছি। কিছু টাকা এক্সচেঞ্জও করেছি। এরকম হয়রানির পর ডাক্তার দেখানোর মানসিকতা কী থাকে! কিন্তু উপায় কী।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D