২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৬
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর হামলার ঘটনার একমাস অতিবাহিত হলেও এখনো চার্জশিট দেয়নি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে শিগগিরই আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হবে।
গত ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে এক বর্বরোচিত নৃশংস হামলার শিকার হয় খাদিজা। এখন খাদিজার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে আরো ভালো খবর দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাজধানীর স্কয়্যার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এদিকে বর্বরোচিত এই হামলার ঘটনায় এখনো চার্জশীট দিতে পারেনি পুলিশ। যদিও মামলার তদন্ত কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ এবং প্রত্যক্ষদর্শী ৯/১০ জনের স্বাক্ষগ্রহণও করেছে পুলিশ। রাজধানীর স্কয়্যার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা খাদিজার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় পুলিশ। তাই একটু সময় নিয়েই চার্জশীট দেয়া হবে বলে জানালেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তের তদারকির দায়িত্বে থাকা এসএমপির এডিসি (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই আদালতে চার্জশীট জমা দেয়া হবে।
গত ৩ অক্টোবর সোমবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খাদিজাকে গুরুতর আহত করে শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলম। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় তার উপর এ হামলা চালায় বদরুল। হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে খাদিজাকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামী করা হয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে। গত ৫ অক্টোবর বুধবার বদরুল হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে বদরুল। পুলিশের কাছে রয়েছে হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করতে বেগ পেতে হয়নি পুলিশকে। শিগগিরই সম্ভব হবে দেশে বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এই ঘটনার চার্জশীট প্রদান।
পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যা প্রচেষ্টার মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছে শাহপরান থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত চাপাতি (যা ঘটনার পর পর বদরুলের কাছ থেকে জব্দ করা হয়), ঘটনাস্থলের রক্তমাখা বালি ও ঘাস, খাদিজার রক্তমাখা কাপড়, খাদিজাকে উদ্ধারকারী ইমরানের রক্তমাখা গেঞ্জি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে, হামলার সময় খাদিজাকে উদ্ধারকারী ইমরান, বদরুলকে আটক করতে সহায়তাকারী জুনেদসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৯/১০ জনের স্বাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি খাদিজার উপর হামলার সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণকৃত ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করেছে পুলিশ। যা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। এই ভিডিও চিত্র চার্জশীটে আলামত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সবকিছু তদন্তকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেছে। ফলে শিগগিরই আদালতে চার্জশীট প্রদান করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে, আসামী বদরুলের নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই করার জন্য তার গ্রামের বাড়ি ছাতক থানায় পাঠানো হয়েছিল। এর প্রতিবেদনও ইতোমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে এসে পৌছেছে।
তবে ঠিক কবে চার্জশীট দাখিল করা হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। কারন এখনো বাকি রয়েছে খাদিজার উপর হামলার মেডিকেল সার্টিফিকেট। পুলিশ এখন কেবলমাত্র এই সার্টিফিকেটের অপেক্ষাতেই রয়েছে। এছাড়া খাদিজার শারীরিক অবস্থাও মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর স্কয়্যার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জানিয়েছে খাদিজার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদি অবস্থার আরো উন্নতি হয় তাহলে তার জবানবন্দীও রেকর্ড করে চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় পুলিশ। তাই খাদিজা শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই চার্জশীট দেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিস্টরা।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D