আ,লীগ-বিএনপির বিরোধিতা নীতির নয়, গদির : সেলিম

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৬

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র সমালোচনা করে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দল দুটি একে অপরের গদির বিরোধিতা করলেও তাদের আর্থ-সামাজিক নীতি অভিন্ন। গত ২৫ বছর ধরে এই দুই দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে নতজানু হয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে লুটপাটের ব্যবস্থা চালু রেখেছে।’

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাতে কেবল গদি নয়, গণবিরোধী, জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনৈতিক নীতিও বদলাতে হবে। এ দেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল থাকতে পারে না। তরুণ প্রজন্ম বিপুল গণজাগরণ তৈরি করে তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই এমন রাজনৈতিক পরিমণ্ডল নির্মাণ করতে হবে, যেখানে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হবে।’

শুক্রবার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) একাদশ কংগ্রেস এর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের কার্যক্রম শুরু করেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর গীতিআলেখ্য-দিন বদলের পালা দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়াসহ ১২টি দেশ থেকে আসা কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির ২৬ জন প্রতিনিধিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীরা কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী সমাবেশের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান ও সিপিবি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হায়দার আকবর খান রনো। এরপর বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, জসিমউদ্দিন মণ্ডল, সহিদুল্লাহ চৌধুরী। সমাবেশ শেষে বের হয়ে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত ও টিএসসি চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

সিপিবির দশম কংগ্রেস হয়েছিল ২০১২ সালের ১১ থেকে ১৩ অক্টোবর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪ বছর পর এবারের কংগ্রেস হচ্ছে। এবার দেশের ৬৮৩ জন কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ২১৭ জন নারী ও ১৭ জন আদিবাসী। এর বাইরে ১০৮ জনকে পর্যবেক্ষক মনোনীত করা হয়েছে। ৯৯ জন ভেটারেন কমরেডকে জানানো হয়েছে বিশেষ আমন্ত্রণ। এদের নিয়ে ২৯ অক্টোবর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় গুলিস্তানের কাজী বশির মিলনায়তনে হবে রুদ্ধদ্বার সাংগঠনিক অধিবেশন।

একইদিন বিকাল ৩টায় বিদেশি প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সাম্রাজ্যবাদ, নয়া উদারনীতিবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদ’ বিষয়ক সেমিনার হবে। শনি ও রবিবার সন্ধ্যায় মহানগর নাট্যমঞ্চে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট