লাঞ্ছনার বিষয়ে বক্তব্য দিলেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি

প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৬

নারায়ণগঞ্জ : পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবসের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে তিন সদস্যবিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দেন শ্যামল কান্তি।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গত ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করান স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান। ওই ঘটনায় আদালত পরে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে তদন্ত করতে ঢাকা সিএমএম আদালতে একজন বিচারককে নির্দেশ দেন।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সার্কিট হাউসে আসেন ঢাকা সিএমএম আদালতের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী। সাড়ে ১০টায় প্রবেশ করে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বেরিয়ে যান শ্যামল কান্তি ভক্ত।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাকে যে অপমান করেছে যা আপনারা দেখেছেন সেটার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছি। দুর্ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। ধর্ম নিয়ে কটূক্তির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এটা অতিরঞ্জিত কথা এবং এটা পলিটিকাল হতে পারে বা পলিটিকাল পর্যায়ে চলে যেতে পারে।’

তবে তদন্ত দলের কাছে কী বলেছেন তা বিস্তারিত জানাননি। সার্কিট হাউস থেকে বের হওয়ার পর কড়া পুলিশি প্রহরায় ছিলেন তিনি।

এর আগে সকালেও কঠোর প্রহরায় তিনি সার্কিট হাউসে আসেন। এর আগে একই তদন্ত কমিটি সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে যে ছাত্রকে নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত, সেই রিফাত হাসানসহ ১৯ জনের বক্তব্য গ্রহণ করে।

এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দেওয়ার সময় কিছু লোক শ্যামল কান্তি ভক্তের শাস্তি দাবি জানিয়ে সার্কিট হাউসের সামনে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন।

এছাড়া সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বন্দরের কয়েকজন চেয়ারম্যান, পূজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।