১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের পাশ দিয়ে কিবরিয়া সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। পুরো রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। অথচ এ রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করেন।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলজগামী শিক্ষার্থীসহ দেওতৈল, দরবেশপুর দাউদপুর, বোয়ালজুরা, কারখানা, বাহরমপুর গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে । রাস্তার অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সিএনজি, রিকশা চালকরা কিবরিয়া রোড দিয়ে কোনো যাত্রী নিয়ে যেতে চায় না।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়- ওই সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় কয়েকদিন পর পর সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । এতে প্রায় সময় রাস্তার সাধারণ পথচারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী মানুষ বলেন- এই সড়কের বেহাল দশার দেখার যেন কেউ নেই! অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্ত গুলোতে কাদা, নর্দমা জমে একাকার হয়ে সড়কটি যেন মরনফাদে পরিনত হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়- নবীগঞ্জ উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের দেওতৈল, দরবেশপুর দাউদপুর, বোয়ালজুরা, কারখানা, বাহরমপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ আউশকান্দি হিরাগঞ্জ বাজারের এবং নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে হলে গ্রাম থেকে বের হয়ে আসার এটাই একমাত্র রাস্তা।
বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে ছোটখাট দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এ রাস্তা দিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সসহ যানচলাচল আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
পথচারীদের পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে আউশকান্দি র,প, উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।
জনৈক কলেজ ছাত্র জানান- আমাদের চলাচলের এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যেখানে কলেজে যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিটে লাগতো সেখানে এখন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের ও বেশি সময় লাগে।
সড়কের বেহাল দশা হওয়ায় আগের মতো গাড়ী পাওয়া যায়না তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেটেই কলেজে আসতে হয়। পয়ে হেটে আসার কারনে সময়মত ক্লাসেও আসতে পারি না। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষাকালীন সময়ে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া অনেকদিন সম্ভব হয়না।
তাই জনচলাচলকারী এ রাস্তাটি অতিসত্ত¡র মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D