৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৯
দেশের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ার পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ত্রাণ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে হাহাকার করছেন। ত্রাণের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো ত্রাণ পাচ্ছেন না বন্যাকবলিত মানুষ। গত দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাদের দলীয় সভায় বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও এখনও পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতার কোনো উদ্যোগই দেখা যায়নি। গতকাল রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপারসন ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কুৎসিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দি। নিজের পথকে কন্টকমুক্ত করতেই সরকার প্রধান কারাগারে আটকিয়ে রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়াকে। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া যেন অভিন্ন সত্তা। দেশের মানুষ আজ সকল অধিকারহারা হয়ে এক ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে প্রতিনিয়ত দেশনেত্রীর মুক্তির প্রহর গুনছে। জনগণ মনে করে বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হলেই অন্ধকারের কালো রাতের অবসান হবে, মানুষ প্রাণখুলে কথা বলতে পারবে, গুমের ভয়-ক্রসফায়ারের ভয়-মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয় থেকে মুক্ত হতে তাদের মধ্যে সাহস সঞ্চারিত হবে। কোটি কোটি মানুষের এই আকাক্সক্ষা সরকার প্রধানের মনে ভীতি তৈরি করেছে। তাই তিনি বিচার-আচার-পুলিশ-প্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিসহ বিরোধী দল-মত-পথে বিশ্বাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে নীল নকশা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য পাশবিক নারী-শিশু নির্যাতন, কুপিয়ে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে লোমহর্ষক হত্যা, নারী নির্যাতনের পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়াসহ দেশ অনাচার- অবিচারে ভরে উঠেছে। এমনকি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সাহেব বলেছেন-‘প্রধান বিচারপতি থাকার পরেও বিচার পাইনি, আর এখন তো ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ একজন প্রধান বিচারপতি তার স্বাধীন বিচারকর্মের কারণে তাকে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে নতুন করে যে মামলা দেয়া হয়েছে তা গোটা বিচার বিভাগের জন্য সরকারের সতর্ক সঙ্কেত। সরকার প্রধান ও সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বললেই সেটিকে দেশদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার কারণেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। সরকারের কুকীর্তি-অপকীর্তি এবং অনাচারের প্রতিবাদ করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। ক্ষমতার নেশায় মজে শেখ হাসিনা অন্যায়কে ন্যায় এবং ন্যায়কে অন্যায় হিসেবে প্রতিপন্ন করছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোর বিরোধী সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী শেখ হাসিনা গায়ের জোরে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছেন। দেশের কৃষক-শ্রমিক-শিক্ষক-চিকিৎসক-প্রকৌশলী-সাংবাদিক সকলেই আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার। দেশের সকল জনগোষ্ঠী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান মধ্যরাতের সরকারের কৃপাধন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের পক্ষভুক্ত হওয়ার কারণে এরা এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ। সরকার ঢাকার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ক্রীতদাসের মতো পণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। শাশ্বত গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা স্বীকৃত। কিন্তু পুলিশ মিছিল দেখলেই নেতাকর্মীদেরকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। থানায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ রিমান্ড পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দর কষাকষি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে জটিল মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সৃষ্টি হয় এক বিষাদ ঘনঘোর পরিস্থিতি। পুলিশ স্টেশনগুলো যেন এখন দাসবাজারে পরিণত হয়েছে। আর এই দাসরা হচ্ছেন বিএনপিসহ সাধারণ জনগণ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D