নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহবান

প্রকাশিত: ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৯

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহবান

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনে এমাজউদ্দীন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, যারা ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন তাদের পরিণতি ইতিহাসের বিভিন্ন জায়গায় যেমন হয়েছে আপনার পরিণতিও তেমনই হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আইনজীবীদের অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। পরে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান এমাজউদ্দীন আহমদ। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষ যতটুকু অর্জন করে তা থেকে একটুও এগোয়নি বরং পিছিয়েছে দেশ। এবারের নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বর না বলে ২৯ ডিসেম্বর বলাই ভালো। কারণ নির্বাচনের নামে মস্ত বড় প্রহসন ঘটেছিল, জাতি তা দেখেছে। সেদিন এক দুঃস্বপ্ন জাতি দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি অনেক চালাক। আপনার যতটুকু বুদ্ধিমত্তা আছে তা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করুন। আপনার ন্যায়নীতি যতটুকু আছে, তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চাওয়ার দিকে অগ্রসর হন। বেগম খালেদা জিয়ার বন্দিদশা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি, দুই কোটি টাকাকে কেন্দ্র করে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ওই দুই কোটি টাকার একটি টাকাও অপচয় হয়নি। বরং ওই টাকা বেড়ে সাত কোটি হয়েছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা যারা মেরেছে তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চলছেন। এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্তি দিন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশে ন্যায়বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত। মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম, নির্যাতন করা হচ্ছে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনজীবীদের দায়িত্ব রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করে তাঁকে মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশে একটা বড় গণবিস্ফোরণ হবে। সেই বিস্ফোরণে সরকারের পতন হবে।
তিনি বলেন, আজকের অনশন সারা বাংলার মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। আমি দাবি জানাই, তাঁর (খালেদা জিয়া) সকল মামলা স্থগিত করা হোক এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট