৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৯
বাংলাদেশ ও ভারতে আইএস-এর হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আমরা কোনও আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সব আশঙ্কার বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ টকশোতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হামলার আশঙ্কায় আপনাদের প্রস্তুতি কেমন রয়েছে? এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা যা বলছে তা আমরা জেনেছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে। কোনও আশঙ্কাই আমাদের দৃষ্টির বাইরে নয়। সবগুলো বিষয় আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সেজন্যই আমরা অনেকগুলো ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। আমরা একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ, যেটার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সমানভাবে চলছে। আমরা একে অপরের ভাইয়ের মতো এখানে বসবাস করছি।
বুদ্ধ পূর্ণিমা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামীকাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধপূর্ণিমা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তারা পালন করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। দেশে প্রায় আড়াই হাজার বৌদ্ধমন্দির বা প্যাগোডা রয়েছে। সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কাজ করছে।
স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনও আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সব আশঙ্কার বিষয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। ঢাকা শহরে যে চারটি মন্দির বা প্যাগোডা রয়েছে সেখানে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে, নজরদারি রয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেখানে করেছে।
তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের অনুষ্ঠানগুলো যেখানে হবে, সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভলান্টিয়ার রাখার কথা বলেছে বলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা সেখানে স্থাপন করতে বলেছি। আমাদের পুলিশও সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে। আশা করি যে আড়াইহাজার মন্দির বা প্যাগোডা রয়েছে সেখানে তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। সেজন্য আমরা সব সময় সচেষ্ট রয়েছি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনগণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। যেখানেই ঘটনা ঘটছে সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তারা সহযোগিতা করছে। সেজন্য আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
কক্সবাজারের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে ক্যাম্প থেকে। নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গারা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি-না বা কোন ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যত্যয় ঘটতে পারে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি কোনও ধরনের ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে একটা উত্তেজক পরিস্থিতি হতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি এ ধরনের কোনও আভাস পাইনি। রোহিঙ্গাদের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে, সেটা যেমন ঠিক, তেমিন আমরা কিন্তু তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তারা যাতে সুস্থভাবে থাকতে পারে আমরা তার সব ব্যবস্থা করেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস নাম টিকিয়ে রাখার জন্য অপকৌশল নিচ্ছে। এই এলাকায় নতুন ধরনের কর্মকাণ্ড চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। হলি আর্টিজানের পর শোলাকিয়া, আশুলিয়া, বান্দরবান, কল্যাণপুরে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘুরে দাঁড়ানোর ডাকে পেশাজীবী, শ্রমিক, মসজিদের ইমাম থেকে আরম্ভ করে সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যারা নিহত হয়েছিল তাদের স্বজনরাও কিন্তু লাশ নিতে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে যে, এরা আমাদের সন্তান নয়, আত্মীয় নয়। আমাদের দেশের মানুষ এ ধরনের জঙ্গিদের কখনোই প্রশ্রয় দেয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের যারা এগুলো চর্চা করেন তাদের উপলব্ধি হয়েছে এটা কোনও ধর্মের কাজ নয়। এটা একটা ষড়যন্ত্র। আমি মনে করি এটা ইসলামকে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে যাতে ইসলামের মতো একটা শান্তির ধর্মের কপালে কালো দাগ পড়ে। যাতে একটা অপবাদ আসে এটাই মূল লক্ষ্য। শান্তির ধর্ম ইসলামে কোনও খুন-খারাবির স্থান নেই। আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এটি বিশ্বাস করেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D