সরকার অলিখিত বাকশাল চিরস্থায়ী করতে চায় : মঈন খান

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

সরকার অলিখিত বাকশাল চিরস্থায়ী করতে চায় : মঈন খান

বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়ে তাদের অলিখিত বাকশাল চিরস্থায়ী করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, সরকার মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে, মুখে গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে। একটি স্বৈরাচারী সরকারের থেকেও গণতন্ত্রের ভানধারী সরকার আরও বেশি ক্ষতিকর। তাই এ বিষয়ে এদেশের মানুষকে সর্তক হতে হবে।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন বলেন, অলিখিত বাকশালের মধ্য দিয়ে সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরেছে। আগামীদিনে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে উপহার দিবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। ১৯৭১ সালে লক্ষ মানুষ স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিলো। আজকে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেখছি সরকার আবারও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে। এদেশের কোটি কোটি মানুষ প্রশ্ন কেনো আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। তাহলে তো পাকিস্থানের সাথে আমাদের পার্থক্য রইলো না। কিন্তু আজকে যারা বাংলাদেশ পরিচালনা করছে। যাদেরকে চেতনার দাবিদার বলে। তারা কীভাবে নিজেদের এই দাবিদার মনে করে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র এক কথা নয়। ক্ষমতার আশবাদে পাগল হয়ে মানুষের ভোটাধিকার বির্ষজন দিয়ে, সন্ত্রাসের নির্বাচন দিয়ে আবারো তারা ক্ষমতায় এসেছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় কোনো কিছু হবে না। মহিলা দলের অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে। তাদের জন্য এই মানববন্ধন পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন ১ হাজার মহিলা নিয়ে রাস্তায় আসেন রাস্তায় থাকেন দেখবেন খালেদা জিয়া এক মাসের মধ্যে মুক্ত হয়ে আসবেন।

আবারও একটি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে জাতীয়তাবাদি মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘বিশ্ববাসী দেখেছেন রাজনীতিক সহিংসতার মধ্য দিয়ে কিভাবে কৌশলের নির্বাচন করেছে। আমরা বলতে চাই আমাদের কথা বলার সুযোগ দেন। আমাদের গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন।’

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বক্তব্য দেন যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।