১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার সকাল আটটায়। উনিশশো একানব্বই সাল থেকে যারা সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন তাদের অনেকেই বলছেন, এবারের নির্বাচনের প্রচারণার পরিস্থিতি ছিল অনেক দিক থেকে একেবারেই ভিন্ন।
প্রথম দিন থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলে আসছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট একতরফা প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, কিংবা সনাতনী প্রথায় যেসব প্রচারণা হয় তার সবটাই তারা করতে পারছে। খবর বিবিসির।
এই খবর রয়েছে গণমাধ্যমে এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন না।
এই অভিযোগের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নূহ-উল-আলম লেনিন বলছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক প্রস্তুতির অভাব।
লেনিন বলছিলেন ‘বিএনপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি ছিল না। তারা একটা নেতিবাচক রাজনীতি করছে এবং সেই নেতিবাচকতার ভিত্তিতে তারা যেমন এবারে নির্বাচনে এসেছে সেটাকে যেমন আমরা স্বাগত জানিয়েছি, তাদের নিজেদের দলের মধ্যে যে শৃঙ্খলাবোধ, দলের যে সাংগঠনিক ক্ষমতা সেগুলো তারা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে তাদের নেতৃত্ব নেই এবং প্রার্থী-জট হয়েছে।’
ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নেতারা প্রথম থেকেই তাদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তারের অভিযোগ করছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়, কিন্তু প্রচারণার সময় খোদ প্রার্থীদের ওপর হামলা প্রচারণার প্রচলিত আমেজকে পাল্টে দিয়েছে।
বিএনপি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলছিলেন, তাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন।
তারা যেহেতু মূল ধারায় প্রচারণা চালাতে পারেননি তাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলছিলেন ‘আমাদের মহাসচিব, আমাদের চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন বক্তব্য, ঐক্যফ্রন্টের ড.কামাল হোসেনের বক্তব্যগুলো ইতিমধ্যে আমরা জাতির সামনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের লক্ষ্য করে আমরা কিছু কথা বলেছি।’
‘কেন তাদের ভোট দিতে বলেছি সেটাও বলার চেষ্টা করেছি। সেখানেও অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশে নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিন এসে সাধারণত দেখা যায় বড় দলগুলো সর্বশেষ জনসভা করে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দলীয় প্রধানদের ভাষণ দেয়ার উদাহরণ রয়েছে বিগত নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে। কিন্তু এবারে এর কোনটিই দেখা যায়নি।
উনিশশো একানব্বই সাল থেকে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন তারা বলছেন, এটা একটা নজিরবিহীন প্রচারণা চিত্র।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন বলছিলেন, বিগত কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারণার সাথে তুলনা করলে এবারে একটা ব্যবস্থাপনাহীন প্রচারণা চলছে।
‘এবার অব্যবস্থাপনার মধ্যে একটা ক্যাম্পেইন চলছে। এক পার্টি অনেক আগে থেকেই ক্যাম্পেইন শুরু করে দিয়েছে, রুলিং পার্টি। প্রতিপক্ষ পার্টির কিন্তু সেরকম কোন প্রচারণাও দেখা যাচ্ছে না। ক্যাম্পেইন পিরিয়ডে যা হওয়ার কথা না, সে সব হচ্ছে।’
‘কোড অব কন্ডাক্ট’ বলতে যে জিনিসটা আছে সেটা একেবারে অসাড় হয়ে গেছে। সরকারি টিভিতে একটা প্রোগ্রাম করে যে যার বক্তব্য তুলে ধরতো । ২০০৮ সালে এটা হয়েছে। সেই বক্তব্য কিন্তু এবারে দেখছি না। কাজেই সব মিলিয়ে একটা অস্বাভাবিক ক্যাম্পেইন পিরিয়ড আমরা দেখলাম।’
তবে অন্য যেকোন বারের তুলনায় এবার নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বেশি ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
বৃহস্পতিবার শেষ দিনে চারটি জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জনসভায় যোগ দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন।
এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে ৩০শে ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D