২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের ছয় দিন আগে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী – যারা কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে’।
সোমবার প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর টিম রাস্তায় টহল দিয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে ৩৮৯টি উপজেলায় এবং নৌবাহিনী কাজ করছে মোট ১৮টি উপজেলায়। খবর বিবিসির।
নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ, সহিংস হামলা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে চলেছে। বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের নির্বাচনী প্রচারণায সহিংস হামলার অভিযোগ করে আসছে।
গত কয়েকদিন সবচেয়ে বেশি হামলা বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়।
সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামার পর পরিস্থিতির কি কোন পরিবর্তন হয়েছে?
নোয়াখালীর শহরতলী থেকে কয়েকজন ভোটার বলছিলেন, সংঘর্ষ-সহিংসতার আতংকের পর সেনাবাহিনী মাঠে নামায় তাদের ভয় কিছুটা কমেছে।
‘এতদিন তো ভয়ে থাকতাম। বোমা মারে, সংঘর্ষ হয়। এখন তো সেনাবাহিনী নামছে। আমাদের ভয় একটু কমেছে’ – বলছিলেন গৃহিণী মোসাম্মৎ জনি।
নোয়াখালীর শহরতলী থেকে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো: ইদ্রিস বলছিলেন, ‘এখানে নির্বাচনী প্রচারণায় আগে উত্তেজনা ছিল। এখন সেনাবাহিনী নামায় পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলছেন, সেনাবাহিনী মাঠে নামায় ভোটারদের মাঝে আস্থা ফিরে আসবে।
‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো, ভোটারদের আস্থা আসবে। এই সুযোগে আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করি, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়, সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্কবিতর্ক, হাঙ্গামা – এগুলো পরিহার করে, কেবলমাত্র তারা যেন নির্বাচনী কর্মকান্ডে মনোযোগ দেন’ – বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে এবং তাদের সামনে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা নিজ উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে।
বলা হয়েছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বেই সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
মতলব উত্তর এবং দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর-২ আসনে বিরোধীদল বিএনপি প্রার্থী ড: জালালউদ্দিন অভিযোগ করেছেন, প্রচারণার শুরু থেকে তিনি কার্যত গৃহবন্দি হয়ে আছেন। তার কর্মীদের প্রচারণায় বাধা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একতরফা প্রচারণা চালাচ্ছে।
‘সেনাবাহিনী মাঠে নামার পরও তার এলাকায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি’ – বলছেন তিনি।
‘আমি গত ১০দিন যাবত পুলিশ আমাকে নিরাপত্তার নামে গৃহবন্দী করে রেখেছে। আমার কোন কর্মী আসতে পারে না। আসলেই তারা গ্রেফতার করে। আর সেনাবাহিনী নেমেছে শুনেছি। কিন্তু এই এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও আর্মি দেখিনি।’
এই চাঁদপুর-২ আসনে তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল আমীন রুহুল একতরফা প্রচারণা অব্যাহত রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
‘যারা যার অবস্থান থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখানে সুন্দর পরিবেশে প্রচারণা চলছে’ – বলছেন তিনি।
সেনাবাহিনী নামার পরও বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কয়েকটি জায়গায় তাদের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করেছে।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান দুই দলই বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেছে।
বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেছেন, সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে তারা আশা করেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগে নেতারা বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে কারও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। তারা উল্লেখ করেছেন, সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D