তিন সিটিতে বিএনপির সেনা দাবি, ইসির ‘না’

প্রকাশিত: ২:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৮

বিএনপির পক্ষ থেকে আসন্ন তিন সিটি (সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল) ভোটে সেনা মোতায়েনের জন্য দাবি জানানো হলেও সেই দাবি নাকোচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। একইসঙ্গে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন আপাতত নেই বলেও কমিশন মনে করে।

সোমবার (২৩ জুলাই) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়ের দাবি জানায় বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘তিন সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’

তিন সিটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত যা আছে তাতে সন্তুষ্ট বলা যায়। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিতে কমিশন সর্বদা প্রস্তুত।’

খুলনা বা গাজীপুরে ভোট নিয়ে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-বরিশাল কিংবা সিলেটেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা কিংবা স্বচ্ছ ভোটের জন্য কমিশন বাড়তি কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খুলনা কিংবা গাজীপুরে ভোটে কোনও অনিয়ম হয়নি এটা বলবো না। অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আমরা কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের ভোটও স্থগিত করেছিলাম। অনিয়মের কারণ খুঁজে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তিন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায় কমিশন। আর এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন সিটি নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম তিনজন নির্বাচন কমিশনার তদারকি করছেন বলেও জানান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

এর আগে সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে বিএনপির প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে তিন সিটিতে সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়টি জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।