১১ লাখ টাকায় দেশের বাজারে টয়োটার হাইব্রিড কার

প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮

লাখ টাকায় দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে টয়োটার জ্বালানি সাশ্রয়ী হাইব্রিড কার। এর মডেল টয়োটা অ্যাকুয়া হাইব্রিড।

এটি একটি রিকন্ডিশন কার। এতে হাইব্রিড সিনারজি ড্রাইভিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটি জ্বালানির পাশাপাশি ব্যাটারিওতেও চলে। ফলে জ্বালানি সাশ্রয় হয়।

এই গাড়িটি ২০১৩ সালের মডেল। এটি ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের মডেলেও পাওয়া যাচ্ছে। মডেলেভেদে এবং গ্রেডভেদে এর দাম ভিন্ন হয়। তবে ২০১৩ সালের মডেল পাওয়া যাচ্ছে ১১ লাখ টাকায়।

বেশ কয়েকটি রঙে বাংলাদেশের বাজারে গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে। এর ডিজাইন দুর্দান্ত। ছোট খাটো আকৃতির গাড়িটি ফাইভ সিটার।

টয়োটা অ্যাকুয়া হাইব্রিড গাড়িতে আছে ১৪৯৬ সিসির ইঞ্জিন। এতে ৪ সিলিন্ডার ওয়াটার কুলড ডিওএইচসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রোট্রেল ই ইলেকট্রিক ড্রাইভেন গাড়িটি ৭২ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে পারে।

এর ম্যাক্স টর্ক ১১১ এনএম। টপস্পিড ১৮০ কিলোমিটার। ই-সিভিট ট্রান্সমিশন সমৃদ্ধ গাড়িটি ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ। হ্যাচব্যাক ডিজাইনের এই গাড়িটির ফ্রন্ট হুইলে রয়েছে কয়েল স্পিং স্টাবিলাইজের। রিয়ারে আছে টরশন বিম টাইম কয়েল স্পিং।

টয়োটা দাবি করছে গাড়িটিতে ২০ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। লো মেইনট্যান্সের এই গাড়িতে ফুয়েল ট্যাংকের পাশাপাশি ব্যাটারি রয়েছে। গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকা অবস্থায় ব্যাটারি চার্জ হয়।

হাইব্রিড গাড়ি চলার জন্য প্রাথমিক শক্তি হিসেবে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়। ব্যাটারির চার্জ যদি শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন চালু হয়। ব্যাটারির শক্তি গাড়ির জন্য যথেষ্ট না হলে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং ইঞ্জিন যৌথভাবে শক্তি উৎপাদন করে এবং গাড়ির চাকাকে গতিশীল রাখে। ব্যাটারি চাকার ঘূর্ণন গতি এবং ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত কর্মশক্তি থেকে চার্জ সংগ্রহ করে। এভাবেই হাইব্রিড গাড়ি পরিচালিত হয়।