মানহানির ২ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ বহাল
কুমিল্লার একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। এদিকে মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে চলমান দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কুমিল্লা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। এর আগে গত ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ২৯ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত রেখে ৩১ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন। সেই অনুসারে ৩১ মে শুনানির পর আপিল বিভাগ বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত রেখে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে আদেশ দেন। এছাড়া ২৪ জুন এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিনও ধার্য করেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করে। গত ২০ মে হাইকোর্টে ওই দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। ২৭ মে কুমিল্লায় দুই মামলার ওপর শুনানি শেষে ২৮ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেন হাইকোর্ট। : মানহানির দুই মামলা খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ বহাল : মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে চলমান দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। : ঢাকার এ দুই মামলায় বিচারিক আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজিরা পরোয়ানা) জারিপূর্বক বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে গত ৩১ মে একটি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বিচারিক আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। গত ৬ জুন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। পরে গত ১০ জুন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। গতকাল সোমবার আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অন্য মামলায় জেলহাজতে থাকলে আসামি গ্রেফতার দেখানোর দায়িত্ব প্রসিকিউশনের বা বাদীপক্ষের। আসামিপক্ষের এ পর্যায়ে এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তাই উক্ত পক্ষ কর্তৃক দাখিলি দরখাস্ত নথিজাত করা হলো। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এই আদেশের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে প্রক্রিয়াগত দিক থেকে ভুল পথে অগ্রসর হয়েছেন। নালিশি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন আবেদন করেন। তিনি আদালতকে অবহিত করেন, অন্য মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। এ অবস্থায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল হয়েছে কি না, সেই প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য অপেক্ষার দরকার নেই। তাই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার মধ্য দিয়ে জামিন আবেদন নথিজাত করে ম্যাজিস্ট্রেট গুরুতর ভুল করেছেন। হাইকোর্টের রায়ে আরো বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট জামিন আবেদন নিষ্পত্তিতে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব করেছেন, যা বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার। একই সঙ্গে নথিজাত করে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।
সংবাদটি পঠিত : 173