সামরিক পরিবারের সদস্য হয়েও সিএমএইচে বিশ্বাস নেই খালেদার : ওবায়দুল

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৮

সামরিক পরিবারের সদস্য হয়েও সিএমএইচে বিশ্বাস নেই খালেদার : ওবায়দুল

জেলে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা প্রস্তাব দেয়া হলেও তিনি তাতে এখনও সম্মতি দেননি।

ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখন দা-কুমড়ো সম্পর্ক।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনীর পরিবার হয়ে খালেদা জিয়া কেন সেনাবাহিনীর (সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর) হাসপাতালকে বিশ্বাস করেন না- এটা আমার প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

ওবায়েদুল কাদের বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যখন বিএসএমএমইউতে যেতে রাজি হননি তখন তাকে সিএমএইচের প্রস্তাব দেয়া হয়। সিএমএইচ অনেক ভালো হাসপাতাল। এর চেয়ে ভালো চিকিৎসার গ্যারান্টি অন্য কোথাও নেই। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থাপনার হাসপাতালও এটাই। এরপরও তিনি কেন সিএমএইচকে গ্রহণ করছেন না, বুঝলাম না। এটা আর্মির হাসপাতাল। সেনাবাহিনীর পরিবার হয়ে খালেদা কেন সেনাবাহিনীর (সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর) হাসপাতালকে বিশ্বাস করেন না এটাই আমার প্রশ্ন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিএনপির নতুন ইস্যু উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপি কি তার চিকিৎসা চান নাকি রাজনীতি করতে চান? বিএনপির নেতারা এটা নিয়ে রাজনীতির ইস্যু খুঁজছে। সিএমএইচ যাদের পছন্দ না, নিশ্চয়ই তারা এ নিয়ে রাজনীতি করছে।

উল্লেখ্য, জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেয়ার কোনো বিধান নেই। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে ওবায়েদুল কাদের বলেন, ইউ আর রং (আপনি ভুল)। তাকে সিএমএইচে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বলা বাহুল্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। সেদিনই তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

কারাগাভোগের ৪ মাস পর সর্বশেষ শনিবার (৯ জুন) খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার ব্যক্তিগত চার চিকিৎসক। সেখান থেকে বেরিয়ে কারা ফটকের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেছিলেন বলে ধারণা তাদের।

এ বিষয়ে সোমবার (১১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে চাইলেও কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া চাইলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হবে।

তবে মঙ্গলবার তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও সেখানে যেতে রাজি হননি খালেদা জিয়া।

সেদিনই খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদাকে সিএমএইচে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। বৃহস্পতিবার  ( ১৪ জুন ) সকাল পর্যন্ত তিনি সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে রাজি হননি।