তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৮ পেলেন সিলেটের ডাকের সিরাজ

প্রকাশিত: ২:২০ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৮

তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৮ পেলেন সিলেটের ডাকের সিরাজ

তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিক পুরস্কার ২০১৮ পেলেন দৈনিক সিলেটের ডাকের চিফ রিপোর্টার, সিলেটের সকাল সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় তামাকবিরোধী প্রতিবেদনের জন্য এ পুরস্কার দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্যে জ্ঞান)। সহযোগিতায় রয়েছে অ্যান্টি ট্যোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।

রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৮ এবং বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

দৈনিক সিলেটের ডাক-এ ‘সিলেট অঞ্চলে হেড নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে: মূল কারণ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য আঞ্চলিক সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তামাকের কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পাঠ্যপুস্তকে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হবে।’ তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে মাদকের কুফল সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও তামাকের বিষয়টি আলাদাভাবে উল্লেখ নেই। ২০২০ সালের পাঠ্যপুস্তকে তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।’

সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, এন্টি-টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স -আত্মার কো-কনভেনর নাদিরা কিরন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য তামাককে ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কোন তামাক পণ্যের দোকান যাতে বসতে না পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচজন সাংবাদিকের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এর মধ্যে সেরা স্থানীয় পত্রিকা রিপোর্টে মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এ পুরস্কারের জন্য মনোনিত হন। এছাড়া সেরা জাতীয় প্রিন্ট/অনলাইন মিডিয়া বিভাগে দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা, কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কাশেম, সেরা টিভি রিপোর্টে এনটিভি’র এস এম আতিক এবং বিশেষ বিভাগে গোলাম মর্তুজা জুয়েল।

প্রসঙ্গত, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সন্তান সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে ২১ জুলাই দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় যোগ দেন। রিপোটির্ংয়ের শুরু থেকেই তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি জাতীয় একাধিক দৈনিকের সিলেট ব্যুরো প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট