‘নির্বাচনে হেরে গেলে কী হবে এই চিন্তায় দুই দলের কর্মীদেরই বুক কাঁপছে’

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০১৮

‘নির্বাচনে হেরে গেলে কী হবে এই চিন্তায় দুই দলের কর্মীদেরই বুক কাঁপছে’

আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীরা শঙ্কার মধ্যে আছেন বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বি চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে। কাঁপবে না কেন? যদি আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে আমাদের কী হবে এই চিন্তায়। এই শঙ্কা তো স্বাভাবিক। কারণ অভিজ্ঞতা বলে অবস্থা ভালো হবে না। আবার জানেন কিছু কিছু সরকারি দলের কর্মী আমার কাছে আসে তাদেরও বুক কাঁপে। কারণ যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা? এটা কি রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ?’

শনিবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বলেন, ‘এটা কি একটা ইঙ্গিত নয় যে ভবিষ্যতে এমন একটি পরিস্থিতি হতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, নিগৃহীত করবে, জেলে ভরবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। এটা কি ভালো কথা? সরি…কিন্তু এটা থামাবে কে?’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম। এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কন্ট্রোল করতে পারে, এদিকও কন্ট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে, তারা যদি বলে, একটা মানুষের গায়ে যদি তোমরা হাত দাও তাহলে তোমাদের সমর্থন উইড্ডো করবো। গোল্লায় যাবা, বিরোধী দল হয়ে যাবা। এদেরও বলবে ওদেরও বলবে। তাহলে দেশটা রক্ষা পাবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের দেশে যেন সেই রকম দুর্যোগ না আসে।’

বি চৌধুরী বলেন, ‘আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে শিখি। মানুষতো আল্লাহর তৈরি। সেই মানুষকে যদি কেউ হত্যা করে, পুড়িয়ে মারে, অত্যাচার, জবরদস্তি করে তাকে আমরা কেন তাদের খুশি হবো, আল্লাহ কেমনে খুশি হবেন।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই কথা মনে রেখে আপনারা ভবিষ্যতের কর্তব্য স্থির করুন এটাই আমার আবেদন। সবাইকে ধন্যবাদ।’

রমজান মানুষকে মুত্তাকি হতে সাহায্য করে এমনটা জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফে মুত্তাকি হওয়ার জন্য যেসব কথা বলেছেন তারমধ্যে অন্যতম হলো ওয়াদা রক্ষা করা। যেটা আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ওয়াদা দিলাম, থোরাই কেয়ার করলাম, কইছি নির্বাচন যা খুশি তাই এভাবে হলে মুত্তাকি হতে পারবেন না। তার নামাজ, রোজা কতদূর কবুল হবে সেটা আল্লাহ জানেন। তবে ইশারা যা দিছেন মনে হয় তা কবুল হবে।’

বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ওয়াদা দিয়েন না যেটা রক্ষা করতে পারবেন না। তাহলে আপনার নামাজ হবে কি হবে না সেটা পরের বিষয়, আপনি মুত্তাকি হতে পারবে না। আপনি মুখে একটা কথা বলবেন আর অন্তরে একটা বলবেন সেটা হবে না।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট